আমাদের শহর, গ্রাম, এলাকা শীতের চাঁদরে ঢাকা। একটু একটু করে বইছে হিমেল হাওয়া। আর এই হিমেল হাওয়ায় মুড়ে যাচ্ছে আমাদের শহর, গ্রাম এবং এলাকা। এর সাথে সাথে অবনতি ঘটছে স্বাস্থ্যের। এই ঠান্ডায় অনেকেরই শুরু হচ্ছে খুচখাচ সর্দি-কাশি। কিন্তু এর সামাল তো দেওয়া যায় ঔষধের মাধ্যমেই। দুই-একদিন ঠিক মত ঔষধ খেলে ঠিক হয়ে যায় সর্দি-কাশি।
কিন্তু সর্দি-কাশি সেরে যাওয়ার পরেও এমন বেশ কয়েকটা ব্যাপার রয়েছে যার দিকে নজর না দিলে এই শীতে পস্তাতে হতে পারে। যেমন-
পানি জীবন: ছোট থেকে পাঠ্যবইতে পড়তে পড়তে কথাটা বেশ একঘেয়ে হয়ে এসেছে স্কুল, কলেজের পাঠ্যবইতে পড়তে পড়তে পানি দেখলে যেনো মনে হয় 'পানির অপর নাম জীবন'। কিন্তু শীত এলেই এই কথার স্পষ্টতা বুঝা যায়। শীতে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে এর প্রভাবে আমাদের শরীরও শুকিয়ে যায়। ভাঁজ পড়ে ত্বকে, শুধু ত্বকেই ভাঁজ পড়ে না এর পাশাপাশি শরীরের ভিতর থেকেও শুকিয়ে যায়। তাই শীতে ভালো থাকতে হলে পানির বিকল্প নেই। তেষ্টা না পেলেও দিনে দুই লিটার পানি আপনাকে পান করতেই হবে।
রূপটান: শীতের প্রভাব সব থেকে বেশি পড়ে ত্বকের উপরে। একমাত্র শীতকালেই ত্বকের দুর্দশার অবস্থা বুঝা যায়। ফলে এই সময় ত্বক এমনিতেই খুব সংবেদনশীল একটা পর্যায়ে থাকে এবং অ্যালার্জি দেখা দেয় শরীরে।
তাই এই শীতে মেকআপ, ক্রিম- এসব রূপটানের জিনিস খুব সাবধানে বাছুন! কম দামি কিছু ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। শীতে ক্ষতিটা একটু তাড়াতাড়ি হয়। পাশাপাশি খুব হালকা ঘরোয়া কোনও ফেস-প্যাক ব্যবহার করতে পারেন ত্বককে কোমল রাখার জন্য।
তেলে ত্বক তাজা: শীতে ত্বকের ক্ষতি হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ শীতের সময় ত্বকের অ্যাসিড লেভেল কমে যায়। ফলে, ত্বক তার আর্দ্রতা হারায়। খুব তাড়াতাড়ি শুকনো, অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। তাই শীতে ত্বক তরতাজা রাখার একমাত্র উপায় তেলের আদরে রাখা। রোজ গোসলের আগে নিয়ম করে তেল মাখুন, ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন।
পায়ে পায়ে: শীত এলেই পা ফাটার সমস্যা নিয়ে ভোগেন সবাই। পা ফাটা ছারাও রয়েছে নানাবিধ সমস্যা। শীত এলেই শুরু হয় দুর্গন্ধের সমস্যা, নয় ফাটা গোড়ালির সমস্যা। এর হাত থেকে বাঁচতে পা পরিষ্কার রাখুন। রোজ বাইরে থেকে এসে ভালো করে সাবান দিয়ে ঘষে পা পরিষ্কার রাখুন।
এছাড়া শীতে পা ফাটার হাত থেকে বাঁচতে খালি পায়ে থাকা বন্ধ করুন। তাতে পায়ে সরাসরি ঠাণ্ডা লাগবে না। এছাড়া ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ের পাতায়, গোড়ালিতে কোনও ক্রিম ম্যাসাজ করে মোজা পরে নিন। তাতে ক্রিমের আস্তরণের উপরে ধুলো-বালি জমে পায়ের ক্ষতি করবে না।