টিকাদান ছাড়াও ওমিক্রনের বিস্তারের কারণে প্রাকৃতিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি তৈরি হবে। আমরা এমন একটি দৃশ্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাবো যে, যা মহামারি অবসানের কাছাকাছি হবে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার করোনাভাইরাসকে একটি সাধারণ স্থানীয় রোগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে; যাকে সঙ্গী করে মানুষ বাঁচতে পারে।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) করোনাভাইরাস মহামারির বিষয়ে এই আশার বাণী শুনিয়েছে।
সাধারণ জনগণকে করোনাভাইরাসের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইএমএ। সংস্থাটি বলেছে, বারবার বুস্টার ডোজ মহামারি মোকাবিলার টেকসই কোনও কৌশল নয়।
ইএমএ ভ্যাকসিন-কৌশলের প্রধান মারকো ক্যাভালেরি বলেছেন, কেউই জানেন না, ঠিক আমরা কখন সুরঙ্গের শেষ মাথায় পৌঁছবো। তবে আমরা সেখানে পৌঁছবোই। ওমিক্রনের উল্লম্ফন আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ প্রয়োগ করছে। আমরা এখনও মহামারির মাঝে রয়েছি, আমাদের সেটি ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
ইএমএর প্রধান মারকো ক্যাভালেরি বলেছেন, প্রত্যেক চার মাস পর পর যদি আমাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কৌশল থাকে, তাহলে আমাদের শরীরে ইমিউনিটির প্রতিক্রিয়া নিয়ে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিতীয়ত ধারাবাহিকভাবে বুস্টার ডোজ প্রয়োগের ফলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অবসাদ তৈরির ঝুঁকিও আছে।
তিনি বলেছেন, বারবার বুস্টার ডোজ প্রয়োগের পরিবর্তে দীর্ঘ বিরতি দিয়ে এবং শীতকাল শুরুর আগে দেশগুলো বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরুর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে পারে; যেভাবে বর্তমানে অন্যান্য ফ্লু ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, আগামী দুই মাসের মধ্যে ইউরোপের অর্ধেকের বেশি মানুষ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হতে পারেন। কোভিডের বারবার বুস্টার ডোজ মহামারি মোকাবিলার স্থায়ী কৌশল নয় বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতো একইভাবে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
পৃথকভাবে ইএমএ বলছে, অতি-সংক্রামক হওয়া সত্ত্বেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ডেল্টা প্রজাতির তুলনায় এক তৃতীয়াংশ বলে বিভিন্ন গবেষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে।