‘প্রতিবেশী দেশে করোনা বাড়লে আমাদের দেশেও তার প্রভাব পড়বে’

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) বলছে যে, ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের বিস্তার করোনাভাইরাসকে একটি সাধারণ স্থানীয় রোগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যাকে সঙ্গী করে মানুষ বাঁচতে পারে। কিন্তু ওমিক্রন নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এটি নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। পুরো বিষয়টি জানতে ও বুঝতে আমাদের আরও সময় লাগবে।  

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ইএমএ ওমিক্রন নিয়ে আশার বানী শোনাচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যে, এটি প্রাণঘাতক না হলেও বিশ্ব এই ঝুঁকি থেকে মুক্ত নয়। ইতোমধ্যে ওমিক্রন পৃথিবীর ১৩০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপ, আমেরিকায় লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ফ্রান্সে চিকিৎসাকর্মীর সংকট দেখা দিয়েছে।  শুনতে পেয়েছি পাশের দেশ ভারতেও ওমিক্রন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। প্রতিবেশী দেশে করোনা বাড়লে আমাদের দেশেও তার প্রভাব পড়বে।

তিনি আরও বলেন, জনগণকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সতর্ক হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বাস, ট্রেন, যাত্রীবাহী পরিবহন,পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে কঠোর বিধিনিষেধ মানতে হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন জায়গায় মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশ, বিয়ে, দাওয়াত খাওয়ার মতো অনুষ্ঠানগুলোকে বন্ধ করা দরকার। সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে।আমাদের দেশে ওমিক্রন ভ্যরিয়েন্ট এখনো ওই রকম ভাবে ছড়িয়ে না পরলেও ঝুঁকি রয়েছে।

সরকার লকডাউন না দিলে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, লকডাউন কোনো সমাধান নয়। এটি দিয়ে স্থায়ী সমস্যার সমাধান হয় না। লকডাউন দিয়ে কোনো লাভ নেই। তবে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার জানামতে এই মূহুর্তে লকডাউনের কোনো চিন্তা-ভাবনা সরকারের নাই। এই মূহুর্তে লকডাউন দেয়া ঠিক হবে না। অর্থনীতি বসে পড়বে।