ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোচিং প্যানেল এবং কিছু প্রশ্ন


প্রকাশ: 14/01/2022


Thumbnail

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রথম কোন জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ড্র করার পিছনে পেসারদের যে যথেষ্ট অবদান রয়েছে, তা বলাইবাহুল্য। পেসারদের সাফল্য নিয়ে চারদিকে আলোচনাও কম হচ্ছেনা। এজন্য পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনকে নিয়ে যখন ধন্য ধন্য রব, ঠিক তখনই ফাটলো বোমা।  বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাথে আর চুক্তি নবায়ন করবেন না এই ক্যারিবিয়ান কোচ।  পাকিস্তান সুপার লিগের দল মুলতান সুলতানসের বোলিং কোচের দায়িত্ব নিচ্ছেন ওটিস গিবসন। বাংলাদেশের পাট চুকিয়েই মুলতানের দায়িত্ব নিতে চলেছেন ওটিস। 

২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশের বোলিং কোচ হয়ে আসেন গিবসন। এই ২০ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে তার মেয়াদ। সেটি আর বাড়ছে না। দুই বছরের দায়িত্বকালের অর্ধেকের বেশি সময় করোনার জন্য কাজেই নামতে পারেননি। তবে যেটুকু সময় পেয়েছেন তাতেই নিজের কোচিংয়ের ক্যারিশমা দেখিয়েছেন গিবসন। পেসারদের স্কিলগত উন্নতির পাশাপাশি ফিটনেস ও মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধিতেও রেখেছেন ভূমিকা। স্পিননির্ভর দলকে তিনি পেস বোলারদের দিয়ে সাফল্য পাইয়ে দিয়েছেন। তাই তিনি থেকে যাবেন এমনটাই আশা ছিল সবার। কিন্তু হঠাৎ করেই তার চুক্তি নবায়ন না করার কি কারণ থাকতে পারে?  ওটিস অবশ্য নিজে কিছু বলেননি। তবে ওটিসের আর চুক্তি নবায়ন না করার পিছনে দুটি বিষয় রয়েছে খেয়াল করার মতো। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কম মেয়াদে বেশি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়। সেটি যদি বাংলাদশের সাথে তার চুক্তি নবায়ন না করার কারণ হয় তাহলে তা অবশ্যই যৌক্তিক৷ এক্ষেত্রে বিসিবির আগ্রহ থাকা সত্বেও তিনি যদি আগ্রহ না দেখান তাহলে তা ঠিক আছে। তিনি যেহেতু পেশাদার, তাই বেশি অর্থ উপার্জনকেই প্রাধান্য দিতে পারেন।   কিন্তু এখানে আরেকটা বিষয় যেটা হচ্ছে, সেটা বিশ্বকাপে ভরাডুবি এবং পাকিস্তান সিরিজে ব্যর্থতার পর কোচিং প্যানেল নিয়ে কড়া সমালোচনা। দেশের মিডিয়াগুলোর রোষানলে পড়তে হয়েছিল তাদের। এমনকি মাশরাফির মতো সাবেক খেলোয়াড়ও কোচিং প্যানেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। গিবসনের কানেও নিশ্চয় তা গেছে। গিবসন কি তাহলে সেই সমালোচনার তিক্ততা থেকেই ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন?

নিউজিল্যান্ডে সাফল্যের পর মিডিয়া এবং সমর্থকরা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়ার পরেও তার ছেড়ে যাওয়া নিয়ে তাই এই প্রশ্ন থেকেই যায়।   তবে ওটিস না থাকলেও হেড কোচের দায়িত্বে রাসেল ডমিঙ্গোই বহাল থাকছেন। অথচ তারই বিদায়ের গুঞ্জন বেশি শোনা যাচ্ছিল। দলীয় সংহতি ভঙ্গ, সিনিয়রদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগানোসহ নানান অভিযোগে প্রায়শই অভিযুক্ত হয়েছেন ডমিঙ্গো। তাই তাকে কেন বরখাস্ত করা হলোনা, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ডোমিঙ্গোকে রাখার ব্যাপারে বিসিবি অবশ্য এই মূহুর্তে হাতে নতুন কোচ না থাকাটাকে কারন হিসেবে উল্লেখ করেছে। কারণ সামনেই আবার ব্যস্ত সূচী।   তবে শোনা যাচ্ছে যে ডোমিঙ্গোর চাকরি প্রায় যায় যায় অবস্থা হলেও তিনি নাকি টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তার চাকরি বাঁচিয়ে চলছেন। এটা মোটামুটি সবাই জানে যে, সুজন বাংলাদেশ দলের অন্যতম প্রধান নীতি-নির্ধারক। জলে বাস করতে হলে কুমিরের সাথে যে বন্ধুত্ব করতেই হয়!  যদিও ডমিঙ্গো-বিষয়ক সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত নয়। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দেশের বাইরে আছেন। তিনি এলে তাঁর সাথে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতেও পারে। এমনকি এও জানা গেছে, পরিবর্তন হতে পারে পুরো কোচিং প্যানেলই! এখন সেটা জানার জন্য তাই আপাতত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭