ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বড় জয় পেলো আয়ারল্যান্ড। ক্যারিবিয়দের পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে আইরিশরা। সফরকারী আয়ারল্যান্ডের পক্ষে অলরাউন্ড পারফর্ম করেছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আইরিশদের মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়।
সাবিনা পার্কে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। প্রথম সাফল্য পেতে দশম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগে আইরিশদের। ১০ম, ১২তম ও ১৪তম- টানা তিন ওভারে তিনটি উইকেট শিকার করেন ক্রেইগ ইয়ং। সাজঘরে ফেরেন শাই হোপ, জাস্টিন গ্রেভস ও নিকোলাস পুরান। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরপর জোড়া আঘাত হানেন ম্যাকব্রাইন। টানা দুই ওভারে তিনি শিকার করেন কাইরন পোলার্ড ও রস্টন চেইজকে। জেসন হোল্ডারও হন। শামারহ ব্রুকস করেন ৪৩ রান। ১১১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ক্যারিবিয়ানরা। অষ্টম উইকেটে রোমারিও শেফার্ডের সাথে ৩২ রানের জুটি গড়ে অকিল হোসেন বিদায় নিলে ১৪৩ রানে ৮ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
নবম উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন শেফার্ড ও ওডেন স্মিথ। ১৯ বলে ৪৬ রানের টর্নেডো ইনিংস আসে স্মিথের ব্যাট থেকে। তার এই বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল দুইটি চার ও পাঁচটি ছক্কা। স্মিথের ঝড় থামান জশুয়া লিটল।
৪১ বলে ৫০ রান করা শেফার্ডকে বোল্ড করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল-আউট করেন ম্যাকব্রাইন। আইরিশদের পক্ষে ম্যাকব্রাইন চারটি, ইয়ং তিনটি, লিটল দুইটি এবং জর্জ ডকরেল একটি উইকেট নেন। ওয়েস্ট করে ২২৯ রান।
জবাবে দিতে নেমে বৃষ্টির বাঁধার মুখে পড়ে আয়ারল্যান্ড। অনেকক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর বৃষ্টি আইনে আয়ারল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৮ ওভারে ১৬৮ রান। ৩৩ বল হাতে রেখেই সে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আইরিশরা।
১০ ওভারের ভেতরেই দুইটি উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড। তবে তাদের রান তোলার চাকা ছিল বরাবরই সচল। দুই ওপেনার উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ২৯ বলে ২৬ রান ও পল স্টার্লিং ১৫ বলে ২১ রান করেন। বলের পর ব্যাট হাতেও দলের জয়ে অবদান রাখেন ম্যাকব্রাইন। ৪৫ বলে করেন ৩৫ রান।
অর্ধশতক হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন হ্যারি টেক্টর। ৭৫ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেন তিনি। ৫ উইকেটের জয় পায় আয়ারল্যান্ড।৷ এই জয়ে সিরিজে এলো ১-১ সমতা। ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পেল আইরিশরা।