ইনসাইড থট

আসুন কোভিড ভ্যাকসিন এবং টিকা প্রদান সম্পর্কে কথা বলি


প্রকাশ: 14/01/2022


Thumbnail

বাংলাদেশ সেই দেশগুলির মধ্যে একটি, যেখানে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি একটি সাফল্যের গল্প। ৯৯% এর বেশি শিশুকে টিকা সময় মত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কয়েক দশক ধরে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনন্য জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার বিকাশ ঘটিয়েছে, যা নিয়ে আমরা সবাই খুবই গর্বিত। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে বিপুল সংখ্যক দক্ষতা সম্পূর্ণ পরিচালক রয়েছে। বাংলাদেশও সেই দেশগুলির মধ্যে একটি, যে দেশ প্রতিদিন হাজার হাজার এবং লাখ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার জাতীয় টিকা দিবস পরিচালনা করেছে। আমি যখন দিল্লিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব আঞ্চলিক অফিসে ডিরেক্টর ছিলাম, টিকাদানের বর্ধিত কর্মসূচি (EPI) ছিল আমার বিভাগের দায়িত্বগুলির মধ্যে একটি এবং আমি দেখেছি কিভাবে বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞরা ভারত এবং অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির পাশাপাশি আফ্রিকার অনেক দেশকে টিকা প্রোগ্রাম, বিশেষ করে পোলিও টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাহায্য করেছিল এবং এখনও করছে। কাজেই টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, ও দক্ষতা রয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই আমি বুঝতে চাই যে, অনেক ইউরোপীয় দেশের আগে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারিতে সফলভাবে কোভিড ভ্যাক্সিনেশন শুরু করা সত্ত্বেও, কেন আজ অবধি আমরা আমাদের জনসংখ্যার মাএ ৩৫% লোককে সম্পূর্ণরূপে টিকা দিতে পেরেছি? হ্যাঁ, আমি জানি এবং বুঝতে পারি, টিকা সফলভাবে শুরু করার পরে, ভারত সরকারের দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্তের কারণে, আমরা ভ্যাকসিন পেতে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ প্রচেষ্টায় আমরা এপ্রিলের শেষের দিকে আমরা চীন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিন পেতে শুরু করি এবং জুন মাসের মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন পেতে শুরু করেছি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী সংসদে আমাদের জানান এবং নিশ্চয়তা দেন যে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুদ আছে এবং আরও ভ্যাকসিন আসছে। তাহলে, কেন আমরা আজ পর্যন্ত আমাদের কভারেজ আরও দ্রুত বাড়াতে পারিনি বা পারছি না।

ভ্যাকসিন এবং টিকা দেওয়ার ক্ষমতা দুটি ভিন্ন সমস্যা, এবং টিকা দেওয়ার কভারেজ বাড়ানোর জন্য উভয় বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। ২০২১ সালের প্রথমে কিছু অনিবার্য কারণে ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি কিন্তু এখন আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আছে। ফাইজার সহ সমস্ত কোভিড ভ্যাকসিন সংরক্ষণ এবং সরবরাহ করার জন্য একটি কার্যকর কোল্ড চেইন সিস্টেম তৈরি করার জন্য আমাদের কাছে গত বছর যথেষ্ট সময় ছিল। তাই আমি বিশ্বাস করি এখন বাংলাদেশে ভ্যাকসিন ও কোল্ড চেইন সুবিধা পর্যাপ্ত রয়েছে। আমি আরও শুনেছি যে বাংলাদেশ কোভিড টিকা দেওয়ার জন্য বেশ যথেষ্ট সিরিঞ্জ কিনেছে। সারাদেশে হাজার হাজার স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান/স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে, বিশেষ করে হাজার হাজার কমিউনিটি সেন্টার এবং এর প্রশিক্ষিত কর্মীরা প্রতিটি জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এসেছেন। এই সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং এর কর্মীরা ন্যূনতম প্রশিক্ষণ সহ সহজেই মানুষকে টিকা দিতে পারে। আমি আরও জানি যে হাজার হাজার তরুণ স্বেচ্ছাসেবককে টিকাদান কর্মসূচিতে সহায়তা প্রদানের জন্য কম সময়ে সংগঠিত করা যেতে পারে। আমি এটাও জানি যে বাংলাদেশ টিকা দেওয়ার পর প্রতিকূল প্রভাব মোকাবেলা করতে এবং প্রয়োজনীয় মানসিক-সামাজিক এবং স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থা রয়েছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো বাংলাদেশের বিপুল বন্দী জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা হয় বিভিন্ন কারখানায় বা মেগা প্রকল্পের কাজে ব্যস্ত। জনসংখ্যার সেই গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উন্নতির অংশীদার লোকদের দোরগোড়ায় সহজেই ভ্যাকসিন সরবরাহ করে টিকা প্রদান করা যেতে পারে। উপযুক্ত ক্ষুদ্র পরিকল্পনার (micro-planning) মাধ্যমে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও টিকাদানের আয়োজন করা যেতে পারে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাছে একটি মাইক্রো প্ল্যান করার জন্য যথেষ্ট সময় ছিল এবং লোকেদের টিকা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও সময় ছিল। অন্যদিকে সুখবর যে বাংলাদেশের মানুষ সচেতন এবং ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক। মানুষ এবং স্কুলগামী শিশুদের বিশাল লাইন দেখে আমরা বলতে পারি যে লোকেরা কোভিড ভ্যাকসিন পেতে ইচ্ছুক। সারা বিশ্বের মতো, কিছু লোক বা লোকের দল বাংলাদেশেও আছে যারা টিকা নিতে চায় না। ভুল ধারনা করলে আমাকে সংশোধন করুন, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশে সেই ভ্যাকসিন বিরোধী মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ১৬৬ মিলিয়ন (১৬.৬ কোটি) জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১২% লোক ১২ বছরের কম বয়সী। অতএব, ১২ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত যোগ্য জনসংখ্যার ৮০% লোকদের টিকার কভারে আনতে আমাদের ১১৭ মিলিয়ন লোককে টিকা দিতে হবে। অতএব, দুটি ডোজ দিতে আমাদের ২৬০ মিলিয়ন (১০% অপচয় যোগ করে) ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন। সেই জনসংখ্যার ৮০% কে বুস্টার ডোজ প্রদান করতে আমাদের ১৩০মিলিয়ন অতিরিক্ত ডোজ প্রয়োজন। সুতরাং, আমাদের কাছে ভ্যাকসিন, পর্যাপ্ত কোল্ড চেইন এবং পরিবহন সহ প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস রয়েছে বা নিশ্চিত, আমাদের কাছে সিরিঞ্জ রয়েছে, আমাদের জনগণের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে এবং টিকা পরিচালনা করার জন্য বিপুল সংখ্যক, আমি বিশ্বাস করি প্রশিক্ষিত, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী রয়েছে। সর্বপরি মানুয টিকা নিতে ইচ্ছুক। তাহলে কেন, এখন পর্যন্ত ৩৩-৩৫% সম্পূর্ণ টিকা কভারেজ বাংলাদেশে? আমদের কি আরো বেশী টিকা প্রদান করার সক্ষমতা নেই? আমরা কি এখন পর্যন্ত ৬০-৭০% লোককে সম্পূর্ণ কোভিড টিকার কভারে আনতে পারতাম না? দয়া করে আমাকে সংশোধন করে বলেন, বাধা কোথায়? এগুলো কি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বের নাকি পরিকল্পনার অভাব? আমি আরও জানতে চাই যে আমাদের অনেক কথা হওয়া ভ্যাকসিন উৎপাদন ও আমাদের দেশের নিজস্ব মহৎ উদ্যোগ mRNA ভ্যাকসিন ব্যাঙ্গোভ্যাক্স উন্নয়নে কোথায় আছি?

এখানে আমি একটি বিষয় উত্থাপন করতে চাই। আমি ঢাকার অনেক লোকের সাথে কথা বলেছি, যারা মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্তের গ্রুপের লোক। তাদের বাসায় বাড়ির কর্মী(রা), বাহিরের গেটের গার্ডের পাশাপাশি ড্রাইভার রয়েছে। যাদের অনেকেই সকালে আসে রাতে তাদের বাড়ীতে ফিরে যায়। যখন আমি তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে এই গোষ্ঠীর কত শতাংশ লোককে টিকা দেওয়া হয়েছে এবং তারা তাদের ঐ সকল বাড়ীর কাজের লোকদের টিকা পেতে সাহায্য করার জন্য কী করেছে। কেউ কেউ প্রচেষ্টা গ্রহণ করে কাজের লোকদের তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিবন্ধন করতে এবং টিকা দিতে সাহায্য করেছে, কিন্তু অনেকেই কোন আগ্রহ দেখাননি বা বলেছেন যে এই লোকদের নিবন্ধন করা যাবে না কারণ তাদের জাতীয় পরিচয় পএ এবং জন্ম শংসাপত্র নেই, তাই নিবন্ধন করা যাবে না। সেই বহুল সংখ্যার বাড়ির কর্মী, গার্ড এবং ড্রাইভারদের মধ্যে কতজন এখনও টিকা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তা বিশ্লেষণ করার জন্য আমাদের কাছে কি কোনও তথ্য আছে? এই গোষ্ঠীর কতজন লোক সংক্রামিত হচ্ছে বা অজান্তে পরিবারের সদস্যদের সংক্রামিত করছে, আমরা কি তা জানি? আমি এইমাত্র পড়লাম মিস্টার তাপস, ঢাকার মেয়র ও তার পরিবার সবাই সংক্রমিত হয়েছেন, আমরা কি জানি তারা কিভাবে সংক্রমিত হলেন (তাদের খুব ন্যূনতম উপসর্গ রয়েছে এবং তারা নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে জেনে আমি খুশি)?

তারপর, আমি বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধন (অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য) কভারেজ বিশ্লেষণ শুরু করি। জন্ম নিবন্ধনের বৈশ্বিক অগ্রগতি মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে ব্যাপক অগ্রগতি দ্বারা চালিত হয়েছে। ভারতে, নিবন্ধিত শিশুদের অনুপাত ২০০৫-২০০৬ সালে ৪২% শতাংশ থেকে ২০১৫-২০১৬ সালে ৮০শতাংশে উন্নীত হয়েছে৷ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে-এ, বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিডি) জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্পের অংশ হিসাবে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য সিস্টেমে (BRIS) ১০০মিলিয়ন জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করে CRVS-এর জন্য একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে। তবুও এখনো বাংলাদেশ ও নেপালে মোট জন্ম নিবন্ধন মাত্র ৫৬%। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ৪২%। ইন্দোনেশিয়া ৭৫%, মায়ানমার ৮১%। ইউনিসেফের মতে, এখন পর্যন্ত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মাত্র ৩৭ শতাংশ জন্ম নিবন্ধিত। ফলে পাঁচ বছরের কম বয়সী এক কোটি বাংলাদেশি শিশুর সরকারিভাবে কোনো অস্তিত্ব নেই। বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন, একটি বিনামূল্যে পরিষেবা, জন্মের ৪৫দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু অনেক পিতামাতাই এর গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত নন। তারা সাধারণত একটি শিশুর স্কুলে ভর্তির ঠিক আগে জন্ম নথির জন্য আবেদন করে, সাধারণত ছয় বছর বয়সে। সুগঠিত ও সারাদেশে অভিন্ন বন্টন এবং সম্পূর্ণ ইন্টারনেট সংযোগ সহ স্বাস্থ্য সুবিধা এবং কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কারদের (CHW) মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের কাছে স্বাস্থ্য পরিচর্যা পৌঁছানোর ব্যবস্থা থাকার পরেও কেন আমরা এখনও জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি? যদি পরিস্থিতি এই হয় এবং জন্ম নথিপত্র কোভিড টিকা দেওয়ার পূর্বশর্ত হয়, তাহলে কতজন যোগ্য লোক কোভিড ভ্যাকসিন এবং টিকা নিতে সক্ষম হবে না তার হিসাব কি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জানা আছে? আমরা এটা সংশোধন করার জন্য কি করছি, যাতে সবাই, বিশেষ করে সেইসব দরিদ্র গৃহকর্মীরা কোভিড ভ্যাকসিন পেতে পারে তার জন্য?

যদিও ওমিক্রন সংক্রমণ এখনও ২০২১ সালের জুলাইয়ের ডেল্টার মতো খারাপ নয়, দেশে সাম্প্রতিক কোভিড সংক্রমণ ক্রমবর্ধমান সম্পর্কে আমরা সবাই মনে হয় বিভ্রান্ত এবং আতঙ্কিত। হ্যাঁ, আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। তবে প্রতিদিনের কতজন পরীক্ষা করা হয়েছে, সংক্রমিত হয়েছে এবং সংক্রমণের হারের সংবাদের পাশাপাশি আমি বলবো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উচিত দৈনিক কতজন লোককে প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে তার তথ্য দেওয়া। এটি টিকাদানকারীদের অনুপ্রাণিত করবে এবং সাধারণ জনগণের আরও আস্থা তৈরি করবে। ওমিক্রনের বাংলাদেশে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে এবং আমরা, যেমন আমেরিকা এবং অনেক পশ্চিমা দেশের মত ওমিক্রনের ব্যাপক সংক্রমণ বন্ধ করতে সক্ষম হব না। তবে, যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মত আমরাও ওমিক্রনের দ্রুত সংক্রমণ এবং খারাপ প্রভাব যেমন দুর্ভোগ এবং মৃত্যু কমাতে পারি টিকাদান, মুখোশ পরা এবং জনসমাগম ও ভিড়ের স্থান এড়িয়ে চললে।

আমি বিস্মিত হয়েছি, বিএনপির একজন খুব বেশী কথাবার্তা বলার নেতা অভিযোগ করেছেন যে, দোষী সাব্যস্ত, দণ্ডিত বন্দী নেএীর মুক্তির দাবিতে জনসমাবেশ করতে না দেওয়া, কোভিড সংক্রমণ বন্ধের নামে সরকারের তাদের ঠেকানোর চক্রান্ত বলে। আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করি, তারা আসলে কি চায়? আমি এই রাজনীতিবিদদের বোঝার চেষ্টা করি, তারা কি সংক্রামিত হওয়া রোধে, কোভিড-এ কষ্ট এবং মৃত্যু কমাতে কাজ করছে, নাকি অনেক কষ্ট এবং মৃত্যু মধ্যে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চায়? তারা কি লোকেদের সংক্রামিত হতে, কষ্ট এবং মৃত্যু হতে পারে জেনেও তাদের নিষ্ফল জনসমাবেশ চালিয়ে যেতে পেরে খুশি? তারা কার জন্য রাজনীতি করেন, তারা কি মানুষের ভালো আর উন্নতির জন্য নাকি মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করছেন? ক্ষমতাসীন দলসহ সব রাজনৈতিক দল যারা এখনও জনসমাবেশ করছেন আমি তাদেরও একই প্রশ্ন করব।

আমি আশ্চর্য হয়েছি যে বিএনপি নেতারা বা অন্য দলের নেতারা তাদের গণসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় জনগণকে মুখোশ পরতে বা টিকা নিতে বলছেন না, বা তা করতে অনুপ্রাণিত করছেন। এটা কি শুধু সরকারের দায়িত্ব নাকি আমাদের সকলের কর্তব্য?

ওমিক্রন সম্পর্কে আর আলোচনা না করে, আসুন বরং সবাইকে টিকা দিতে, মানুষকে মুখোশ পরতে অনুপ্রাণিত করতে এবং তাদের জীবন ও জীবিকা নিরাপদ করার জন্য জনসমাগম এড়াতে একসঙ্গে কাজ করি - এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাধাহীনভাবে অব্যাহত থাকতে কাজ করি। সেটা হবে আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭