ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশ দলের সামনে আরো যত "কঠিন চ্যালেঞ্জ"


প্রকাশ: 15/01/2022


Thumbnail

২০২২ সালের শুরুটা বাংলাদেশ দলের জন্য খুব খারাপ যায়নি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদেরকে টেস্ট ফরম্যাটে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে বছরটা শুরু করে টাইগাররা। যদিও সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে হেরে সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মতো এ রকম চ্যালেঞ্জিং সিরিজ আরও অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ দলের জন্য। পুরো বছর জুড়েই টাইগারদের ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। একটানা খেলার চাপ সামলিয়ে টাইগাররা বছরটাকে সাফল্যমন্ডিত করতে পারে কিনা সেটিই দেখার বিষয়। 

আইসিসি, এসিসি এবং বিসিবি- নানা আয়োজনে পুরো বছরটাকেই ব্যস্ত করে তুলবে ক্রিকেটারদের জন্য। এক কথায় নিঃশ্বাস ফেলারও সুযোগ মিলবে না ক্রিকেটারদের। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) বাইরে আরো অনেকগুলো দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এই বছর সব মিলিয়ে অন্তত ৬১টি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। এফটিপি অনুযায়ী চলতি বছরে অন্তত ২১টি ওয়ানডে, ২৫টি টি-টোয়েন্টি ও ৯ টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এর বাইরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে কমপক্ষে চারটি ম্যাচ। এফটিপির বাইরেও রয়েছে একাধিক টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর বাংলাদেশ দল মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ঘরের মাঠে সেই সিরিজ বাংলাদেশ দলের জন্য খুব বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে না। বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করেই দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে উড়াল দিবে বাংলাদেশ দল। কন্ডিশন, উইকেট এবং প্রতিপক্ষ মিলিয়ে বেশ কঠিন একটি সিরিজ হবে বাংলাদেশ দলের জন্য। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ দল। 

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে আবার বাংলাদেশকে লড়তে হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘরের মাঠে বিধায় সিরিজে কিছুটা কম চাপেই থাকবে বাংলাদেশ দল। তবে টেস্ট ফরম্যাটে হওয়ার কারণে সেই সিরিজেও বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে। কারণ, টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল এখনও বেশ আনকোরা। 

শ্রীলঙ্কার সিরিজের পর বাংলাদেশের জন্য আরেক চ্যালেঞ্জিং সিরিজ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে তাদের মাটিতে দুই টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। সেখানেও বাংলাদেশ দলকে ভোগাবে সে দেশের উইকেট, কন্ডিশন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটে সাধারণ পেসাররাই বেশি সহায়তা পেয়ে থাকে। স্পিনে অভ্যস্ত বাংলাদেশ দলের জন্য তাই পেস সহায়ক উইকেটে খেলা বেশ চ্যালেঞ্জিংই হয়ে দাঁড়াবে। 

এরপরই জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশ। তাছাড়া রয়েছে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। বছরের শেষ চ্যালেঞ্জটুকু বাংলাদেশ পাবে ভারতের কাছ থেকে। সবকিছু ঠিক থাকলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে বছরের শেষ সিরিজ। ভারত আসবে বাংলাদেশে। খেলবে দুটি টেস্ট এবং ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সেই সিরিজ ঘরের মাঠে  হলেও ভারতের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই কঠিন। প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা যেমন শক্তিশালী তেমনি যে কোনো কন্ডিশনেই তারা নিজেদের দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। ফলে বাংলাদেশের মাটিতে এসেও বাংলাদেশকেই যে তারা চ্যালেঞ্জ জানাবে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। 

জিম্বাবুয়ে,  আয়ারল্যান্ডের মতো দলগুলোর সাথে জয়ের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জিং সিরিজগুলোতেও যদি বাংলাদেশ ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে তাহলে সেটি হবে দেশের ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক দিক। শেষ ৫ বছর ধরেই বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে কঠিন প্রতিপক্ষ,  কিন্তু আ্যাওয়ে সিরিজগুলোতে সুবিধা করতে পারে না টাইগাররা। চলতি বছরে বিদেশের মাটিতে টাইগাররা জ্বলে উঠতে পারবে কিনা এখন সেটিই প্রশ্ন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭