দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আবারো শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চারদিনের ব্যবধানে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় আবারো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় এটি রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ।
তীব্র শীতে অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষজন কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কাপড় না থাকায় দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষজন কাজে যেতে পারছে না। কাজে যেতে না পারায় তারা বিপাকে পড়েছে। দ্রুত সরকারি সহায়তা চেয়েছেন এ অঞ্চলের মানুষজন।
এদিকে ভোরে ঘন কুয়াশা থাকায় জেলার বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগে, ১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে গিয়েছিল। ওই সময় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠানামা করেছে।
তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের এ জনপদে হিমেল বাতাস বাড়তে শুরু করে। এতে রাতভর কনকনে শীত অনুভূত হয়। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে কুয়াশা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝড়তে থাকা কুয়াশা আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
বেলা ১১টার পর সূর্য হালকা উঁকি দিলেও রোদ তীব্রতা ছড়াতে পারেনি। সকাল পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক জীতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আবারো তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে শুরু করেছে। গত ৩-৪ দিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছিল। উত্তরের ভারী শীতল বাতাস তেঁতুলিয়ায় সরাসরি প্রবেশ করে তাপমাত্রা আবার কমে গেছে। এতে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশা ও জলীয় বাষ্প থাকায় সূর্যের তীব্রতা ভূপৃষ্ঠে আসতে পারছে না। এ কারণে দিনেও বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন তেঁতুলিয়ার এমন আবহাওয়া স্থিতিশীল থাকতে পারে।