ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের নীলনকশা দৃশ্যমান হচ্ছে


প্রকাশ: 15/01/2022


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশবিরোধী এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের নীলনকশা ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দেশে-বিদেশে সাইবার ক্রিমিনালরা বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত আছে। আর এই অপপ্রচার গুলোকে অভিযোগ আকারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে অর্থ দিয়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করানো হচ্ছে। আর এই সমস্ত প্রতিবেদনগুলো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে দেওয়া হচ্ছে, তাদের কাছে লবিং করা হচ্ছে। এ সমস্ত লবিংয়ের ফলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামিনেস্ট ইন্টারন্যাশনাল এর মত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার করছে। এর সবগুলো মিলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরই করার চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে আন্তর্জাতিক মহলে একটি ধারণা তৈরি হয় যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে, বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই এবং এরকম একটি পরিস্থিতি তৈরি করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যেন বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।

বিশেষ করে এদের মূল লক্ষ্য হলো, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধাপে এই পরিকল্পনাগুলো চলছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এখনই বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের উচিত এ ধরনের অপপ্রচার, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, কানাডা, সুইজারল্যান্ডে লাগামহীন বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চলছে। এই প্রচারণার একাধিক দৃশ্যমান রূপ আছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি ছিলো এই অপপ্রচারের একটি বাস্তব প্রকাশ। এছাড়াও ইউটিউব, ফেসবুকের মত সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ব্যবহার করে প্রতিদিন গোয়েবলসি কায়দায় মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এই সমস্ত মিথ্যাচারগুলি আবার গ্রন্থিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন, জাতিসংঘে দেয়া হচ্ছে। যেন তারা বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে যে তারা কিছুটা সফল হয়নি এমনটি নয়।

ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একাধিক ধরনের নেতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি, বাংলাদেশের ৭ জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক একটি নাজুক পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। শুধু মার্কিন প্রশাসনের কাছে নয় বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, জাতিসংঘেও বাংলাদেশের মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং গুম নিয়ে বিভিন্ন রকম বানোয়াট মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে, যেন জাতিসংঘ এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। আর এই সমস্ত তৎপরতা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত কিছু মানবাধিকার সংগঠন। সম্প্রতি বাংলাদেশের গুম নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো তৎপর হয়েছে। আর এই তৎপরতার পিছনে রয়েছে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ নিয়ন্ত্রিত দুটি দৈনিক পত্রিকার ভূমিকা এবং স্থানীয় দু'একটি এনজিও। এরাই তথ্যগুলো আন্তর্জাতিক মহলের হাতে তুলে দিচ্ছে। মূলত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি চাপ সৃষ্টি এই নীল নকশার অংশ বলে বিভিন্ন মহল নিশ্চিত করেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭