নিজেদের নতুন মেয়র বেছে নিতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ নগরবাসী। আজ রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত নির্বাচন পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তবে শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে। অনেকে ফজরের নামাজ পড়ে ভোটকেন্দ্রে চলে এসেছেন। ভোট দিয়ে অফিস ধরতেই অনেকে ভোরে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, কেন্দ্রগুলোতে পুরুষদের পাশাপাশি নারী ভোটারদেরও ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। তারা জানিয়েছেন, ভিড় ও ঝামেলা এড়াতে ভোরে ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে এসেছেন তারা। এছাড়া তাদের ঘরের কাজও সামলাতে হবে। এজন্য সকাল সকাল ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে চান।
এবারের নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ ভোটার ১৮৭টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৪ জন। এ নির্বাচনে ইভিএম’এ ভোট দিবেন ভোটাররা।
এ নির্বাচন ঘিরে উৎসবের আমেজ নগরজুড়েই। আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং স্বতন্ত্র মোড়কে বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও আরো পাঁচজন একই পদে লড়ছেন। তারা হলেন- খেলাফত মজলিসের প্রার্থী এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ (হাত পাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন (বট গাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাবু (ঘোড়া)। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন লড়ছেন। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দুই প্রার্থীর প্রতীক নৌকা ও হাতি।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে, নাকি পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে আসা তৈমূর আলম খন্দকারকে বেছে নেবেন ভোটাররা- তা জানতে এখন কেবল একটু অপেক্ষা। তবে আগামী নগরপিতা যিনিই হোন না কেন, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথাই বলছেন নগরবাসী।
পুলিশের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের জন্য কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।