ইনসাইড বাংলাদেশ

নাসিক নির্বাচন: ২৯ কাউন্সিলরের ১৪ জন আওয়ামী লীগ, ৯জন বিএনপি সমর্থিত


প্রকাশ: 17/01/2022


Thumbnail

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ২৭টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদের মাঝে ১৪টি পদে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। অপরদিকে নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত নেতারা জয় পেয়েছেন ৯টি ওয়ার্ডে। বাকি ওয়ার্ডগুলোর দুটিতে জাতীয় পার্টির (জাপা), বাসদের একজন ও স্বতন্ত্র একজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

রবিবার (১৬ জানুয়ারি) ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে জয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। 

তবে এবারের নির্বাচনের আলোচনার জন্ম দিয়েছে নতুন কাউন্সিলররা। মোট বিজয়ীর ১২ জনই এবারের নির্বাচনে নতুন মুখ। এছাড়া ২৯ জন কাউন্সিলরের মাঝে ১৩ জনই বিরুদ্ধেই রয়েছে হত্যা, মাদক, অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলার আসামী। 

২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলরের সাথে ৯ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের নয়টি পদের মধ্যে আটটিতেই বর্তমান কাউন্সিলররা জয়ী হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের ভাই ও ভাতিজা জয়ীদের তালিকায় আছেন। জয় পেয়েছেন পরাজিত মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকারও।

বিজয়ী কাউন্সিলর যাঁরা

১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনোয়ার হোসেন, ২ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মো. ইকবাল হোসেন, ৩ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের শাহজালাল বাদল নির্বাচিত হয়েছেন। শাহজালাল বাদল বহুল আলোচিত সাত খুন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা। এ ছাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নূর হোসেনের ভাই আওয়ামী লীগের নূর উদ্দিন নতুন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

৫, নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপির সাবেক সাংসদ জি এম গিয়াস উদ্দিনের ছেলে গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল ও ৬ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের মতিউর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন মোল্লা।

৯ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া ইস্রাফিল প্রধান, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের ইফতেখার আলম, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থক অহিদুল ইসলাম, ১২ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির শওকত হাসেম। 

১৩, নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির মাকসুদুল আলম খন্দকার নির্বাচিত হয়েছেন। মাকসুদুল এই নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলমের ছোট ভাই। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনিরুজ্জামান, ১৫ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর বাসদ নেতা অসিত বরন বিশ্বাস, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের রিয়াদ হাসান বিজয়ী হয়েছেন।

১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের মো. আবদুল করিম, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রমিক লীগ নেতা কামরুল হাসান, ১৯ নম্বরে জাপার মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির মোহাম্মদ শাহেনশাহ। 

২১, নম্বর ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র শাহিন মিয়া, ২২ নম্বরে বিএনপির সুলতান আহমেদ, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউসার বিজয়ী হয়েছেন। আবুল কাউসার নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আবুল কালামের ছেলে। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর জাপার আফজাল হোসেন। 

২৫ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির এনায়েত হোসেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির মো. সামসুজ্জোহা, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।

সংরক্ষিত ওয়ার্ডে জয়ী যাঁরা

এদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে যথাক্রমে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাকসুদা মোজাফফর, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মনোয়ারা বেগম, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মোসাম্মৎ আয়শা আক্তার জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া ১০, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মিনোয়ারা বেগম, ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে শারমীন হাবিব, ১৬, ১৬ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে আফসানা আফরোজ, ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শিউলি নওশাদ, ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শাওন অংকন এবং ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে সানিয়া আক্তার বিজয়ী হয়েছেন। সানিয়া ছাড়া বাকি সবাই বর্তমান কাউন্সিলর।

এর আগে ২০১৬ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ১১ এবং বিএনপির ১২ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। সেবার জামায়াতে ইসলামীর একজন প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে এবার দলটির কোনো প্রার্থী মাঠে ছিল না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭