ইনসাইড টক

‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যা বাইডেনও তা’


প্রকাশ: 21/01/2022


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বেশকিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা বা এনজিও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে। এ ধরণের ১২টি প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের র‌্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব) সদ্যসদের নেওয়ার আগে তারা র‌্যাবে থাকাকালীন সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে কিনা, তা তদন্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছে। পুরো চিঠি যদিও আমি পড়িনি তবে এখানে বলা দরকার, র‌্যাব প্রতিষ্ঠান হিসেবে শান্তিরক্ষা মিশনে যায় না, র‌্যাবের কিছু সদস্য যেতে পারে। 

মানবাধিকার ইস্যুতে ১২ এনজিওর জাতিসংঘে ঠিঠি, বাইডেন প্রশাসনের এক বছর পার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।

অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এনজিওগুলো বলছে যে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা যদি র‌্যাবের সদস্য হয়ে থাকে, তারা যেন শান্তিরক্ষা মিশনে যেতে না পারে। সেটা এমনিতেও যেতে পারে না। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাঠানোর আগে এমনিতেও তাদের অতীত রেকর্ড বিশেষ করে মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলো দেখা হয়। ফলে যেসমস্ত অফিসারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ থাকে, তারা এমনিতেও যেতে পারবে না। তাদের বিষয়ে এটি এমনিতেই প্রযোজ্য। বিষয়টি কিন্তু সোজা। খবরটি শুনলে মনেহয় সাংঘাতিক ব্যাপার, আসলে কিছু না।

তিনি বলেন, এনজিওগুলো এটা করেছে হয়তো র‌্যাব যেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দিকে অধিকতর গুরুত্ব দেয় এবং এটিকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনে। এটি একটি ব্যাখ্যা হতে পারে। আরেকটি হতে পারে র‌্যাবের ওপর প্রেশার। সেটাতো সরকারও এখন বলছে যে, এই ব্যাপারে সরকারও এখন সচেতন। সে ব্যাপারে যদি কিছু করতে হয়, তারা সেটা করবে। কিন্তু কতখানি কাজ করতে পারবে তা নিয়ে শঙ্কা আছে। মনে রাখতে হবে, র‌্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে, সেটি এমন একটি বিষয়, যেটি নিয়ে র‌্যাবের একটু দুর্বলতা তো আছেই, এটা অস্বীকার করা তো চলবে না। র‌্যাবের বিরুদ্ধে এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পত্রপত্রিকায় ওঠেছে। সেগুলো বন্ধ করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। সুতরাং এগুলো নিয়েই এনজিওগুলো এটা করছে। বিশেষ করে আমাদের ঘরের ভেতরের কিছু এনজিও আছে, তারা এ নিয়ে বেশ হইচই করছে। সেই হিসেবে তারা সবাই মিলে জাতিসংঘকে একটি চিঠি দিয়েছে। এখন জাতিসংঘ কি পদক্ষেপ নিবে, সেটি আমরা এখনো জানি না। তবে এমনিতেও র‌্যাব প্রতিষ্ঠান হিসেবে কখনো শান্তিরক্ষা মিশনে যায় না, তারা বাংলাদেশের ভিতরে কাজ করে।

বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ প্রসঙ্গে ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, একটি বিষয় হলো লবিস্ট নিয়োগ অবৈধ কিছু নয়। তবে যদি বিরোধী দল লবিস্ট নিয়োগ করে থাকে, তাহলে কিছু প্রশ্ন তো অটোমেটিক চলে আসে। বিশেষ করে বিরোধী দল টাকাটি কিভাবে লবিস্টদের দিলো? ৩.৭৫ বিলিয়ন ডলার কি বাংলাদেশ থেকে দিলো? যদি দিয়ে থাকে, তাহলে সেটা কি নিয়ম মেনে দেওয়া হয়েছিল? আমরা তো জানি বিদেশে টাকা পাঠানোর ওই ধরণের বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক এর মাধ্যমে পাঠাতে হয়। এখন সরকার বলছে যে, ডকুমেন্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। এখন এটা দেখা দরকার যে নিয়ম মেনে দেওয়া হয়েছিল কিনা। আরেকটি হলো, যদি বাংলাদেশ থেকে না গিয়ে থাকে, তাহলে কোন দেশ থেকে গেল? এটিও বের করা উচিত। 

তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে বলা একটি বিষয়। এখন যদি কোনো দল দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাহিরের মানুষকে নাক গলাতে আমন্ত্রণ জানায়, আরেকটি বিষয়। সেটি নিয়ে সমালোচনা তো হবেই।

বাইডেন প্রশাসনের এক বছর নিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যা বাইডেনও তা। ডোনাল্ড ট্রাম্প যা চালু করেছিল,সেটাই সে চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্প যেমন চীন বিরোধীনীতি গ্রহণ করেছিল, বাইডেনও তাই অনুসরণ করে যাচ্ছে। মানুষ ভেবেছিল, বাইডেন হয়তো করোনা পরিস্থিতি সামাল দিবে। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি এখন পর্যন্ত এমন কিছু করতে পারেননি যেটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ স্বস্তি নিবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭