বিশ্বের অন্যতম পছন্দনীয় খাবার হচ্ছে চকোলেট। আর এর নামটি শুনলে ছোট বড় মোটামুটি সবাই খুশি হয়ে যায়। এটা বাচ্চাদের যেমন পছন্দের তালিকায় থাকে তেমনি কিছু কিছু মধ্য বয়স্ক, বয়স্ক মানুষের পছন্দের তালিকাতেও থাকে চকোলেট। পুরো বিশ্বেই আছে চকোলেটের কদর। সারা বিশ্বের মানুষের চাহিদা মেটাতে ৩ কোটি টনের অধিক কোকো বা কোকোয়া বীজের প্রয়োজন পড়ে।
অনেকেই বলে থাকে চকোলেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এমনি চকোলেট খেলে দাঁতে পোকা ধরে এটা ছোট বেলা থেকে সবাই শুনে অভ্যস্ত। তবে এই ধারনা একেবারেই ভুল। কারণ ডার্ক চকোলেটে আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। চকোলেট তৈরির মূল উপাদান হলো কোকোয়া। যা ফ্ল্যাভোনলে ভরপুর। এই উপাদানটি ত্বকে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
-> এছাড়াও চকোলেট খাওয়ার পর পরই শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের যোগান দেয়। এর ফলে সারা শরীরে রক্তের প্রভাব বেড়ে যায়। চকোলেটে থাকা ফ্ল্যাভোনল গ্র্যান্ড ফাংশনের উন্নতি ঘটায়। এর ফলে স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের বিকাশ ঘটায়।
-> নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খেলে এন্টি অক্সিডেন্টের মাত্রাও বেড়ে যায়। এর ফলে দেহের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বেড়িয়ে যায়।
-> চকোলেটে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধে করে। আর এন্টি অক্সিডেন্ট হার্টের কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
-> ডার্ক চকোলেটে থাকা দু-ধরনের এন্টি অক্সিডেন্ট । একটি হলো ফ্ল্যাভোনল অন্যটি হলো যা শরীরের গঠনে সাহায্য করে থাকে।
-> গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ৮ সপ্তাহ ডার্ক চকোলেট খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমতে থাকে। সেই সাথে রক্তচাপও স্বাভাবিক হয়ে যায়। ডার্ক চকোলেটে থাকা পলিফেনল রক্তে উপস্থিত থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
-> চকোলেটে থাকা পলিফেনলস বিষন্নতা ও দুশ্চিন্তা দূর করে মুড ভাও করতে সাহায্য করে। চকোলেট মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ায়। এটা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি এবং ক্ষনস্থায়ী স্মৃতি সংরক্ষণ করে। নানা গুনের কারণে চকোলেটকে বলা সুপার-ফুড।
তাই শুধু সুস্থতার জন্য নয়। মুড ভালো করতে বা মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়াতে চকোলেট বিশেষ ভূমিকা পালন করে।