ইনসাইড টক

‘অথর্ব সুশীল সমাজ বললেই কি, আর না বললেই কি’


প্রকাশ: 22/01/2022


Thumbnail

ইসি গঠনে আইনের বিষয়ে বিএনপির সাবেক সাংসদ মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেছেন, ইসি গঠনের আইনটি প্রকাশ না করার কারণে পুরোপরি জানি না। এখন আইন দেখে কথা বলতে হবে। আইনে তো অবশ্যই এই কথা বলবে না যে, বিরোধী দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবে। আইনে বলা হবে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেবে। আইন না হলেও এটিই হতো। তাহলে আইন করে লাভ কি?

ইসি গঠনে আইন, আগামী জাতীয় নির্বাচন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।

মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেন, রাষ্ট্রপতি যেটা ভালো মনে করবে, সেটাই হবে। আর রাষ্ট্রপতির যেকোনো কাজ করতে হলো প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ লাগবে। প্রধানমন্ত্রী যদি বলে মেজর আখতারকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বানাতে হবে, তাহলে রাষ্ট্রপতি মেজর আখতারকেই নিয়োগ দেবে। সংবিধান অনুযায়ী এটাই হওয়ার কথা। এর বাইরে রাষ্ট্রপতির ইসি গঠনের কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী যাকে ইসি বানাবে, সেই ইসি হবে। এখানে আইন করলেই কি, আর বেআইন করলেই কি!

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুশীল সমাজের অনেকেই বলে ২০১৪ সাল বা ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচন হবে না। কিন্তু তাদের কথায় তো কিছু হবে না। বাংলাদেশ সরকার কি বলে, সেটিই হলো ভাষ্য। এর বাইরে সুশীল বলেন, কুশীল বলেন, তাদের তো ক্ষমতা নাই। ২০১৪ বা ২০১৮ সালের নির্বাচনের সুষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন তো কিছু বলেনি। তারা বলছে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। সরকারও বলে নাই। আমি আপনে মনের দু:খে বলে তো কোনো লাভ নাই। যা হওয়ার তাই হবে। অর্থহীন-অথর্ব সুশীল সমাজ বললেই কি, আর না বললেই কি?

তিনি আরও বলেন, একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থেকে জনগণের করের পয়সায় বেতন-ভাতা নিয়ে পাঁচ বছর কাটিয়ে দিয়ে আবারও পাঁচ বছর কাটাচ্ছে। আর তারা এতদিনে এসেছে ভোট সুষ্ঠু হয়নি বলতে। এই সমস্ত সুশীল সমাজের জন্যই তো আজকে সমাজ, রাষ্ট্র কাজ করতে পারছে না। কারণ এইসব সুশীলরা ডাকাতকে মারলে বলে বিচারবহির্ভূত হত্যা। কিন্তু এই ডাকাত যে আমার সব কিছু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে, আমার স্বাধীনতা হরণ করছে, তা নিয়ে কিছু বলবে না। এই হলো সুশীলের চরিত্র।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেন, দুর্নীতির দায়ে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমার সাত কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা করতে পারে, আওয়ামী লীগ সরকারকে নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখাতে পারে, তাহলে তো বিএনপির এ টু জেড, সবাইকেই নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। বিএনপির নেতারা তো ইতোমধ্যে দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। ফলে যুক্তরাষ্ট্র কি বিএনপির বেলায় মাফ করে দেবে? এটা তো সম্ভব না। ওরা ওদের স্বার্থে কাজ করবে। আমাদের স্বার্থটা আমাদেরই দেখতে হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭