ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার: আন্তর্জাতিক থিংক ট্যাংক


প্রকাশ: 24/01/2022


Thumbnail

বিশ্বে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিকৃতি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে একটি শক্তিশালী থিংক ট্যাংক গ্রুপ কাজ করছে। এটিকে শুধুমাত্র বিএনপি-জামায়াতের অপপ্রচার হিসেবে অনেকে মনে করছে কিন্তু বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে, একটি তথাকথিত শিক্ষিত, মেধাবী গোষ্ঠী বাংলাদেশবিরোধী এই অপপ্রচারের মূল কৌশলপত্রগুলো তৈরি করছে এবং তারাই এই অপপ্রচারের মূল থিংক ট্যাংক হিসেবে কাজ করছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেন প্রশাসনে অত্যন্ত প্রভাবশালী নীতি-নির্ধারকের ভূমিকা পালন করছেন ওসমান সিদ্দিকী। ওসমান সিদ্দিকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ফিজিতে মার্কিন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি এখন জো বাইডেন প্রশাসনের অন্যতম পরামর্শক। ওসমান সিদ্দিকীর ভাই ওসমান ফারুক যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী। তার যখন যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হচ্ছিলো, তখন তিনি পালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। ওসমান সিদ্দিকী জো বাইডেন প্রশাসনকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করছে। এই পরিবারটি মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করেনা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে অবিশ্বাসী। তাই আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তাদের সবসময় একটা নেতিবাচক মনোভাব কাজ করে। ওসমান সিদ্দিকী সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রশাসনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালিত হচ্ছে তাতে অন্যতম প্ররোচনাদাতা বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আইরিন খান ২০০১ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এখন তিনি মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। মজার ব্যাপার হলো যে, ২০১০ সালের ১৫ মে তিনি ঢাকার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের পরামর্শদাতা সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছিলেন। আইরিন খান হলেন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের ঘনিষ্ঠ এবং তাদের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। এই পরিবারটিও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে নয় বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে আইরিন খান বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনকে প্রভাবিত করা এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানারকম প্রতিবেদন তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে জানা গেছে। ৬৫ বছর বয়সী এই নারী মানবাধিকারকর্মীর বাংলাদেশের ব্যাপারে এক ধরনের বিদ্বেষ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিসেবে পরিচিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য এই সংগঠনটি মরিয়া হয়ে কাজ করেছিল সেই সময়। এখন আবার গুম এবং অন্যান্য ইস্যু নিয়ে এই সংগঠনটি বাংলাদেশ সরকারের সাথে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সংগঠনটির এশিয়া অঞ্চলের জন্য একটি উপদেষ্টা বোর্ড রয়েছে। এই উপদেষ্টা বোর্ডে দুজন অন্তত পাকিস্তানী ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা বাংলাদেশ বিরোধী হিসেবে পরিচিত। এদের মধ্যে একজন রয়েছেন আয়েশা জালাল, যিনি মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ওপর 'দ্য সোল স্পোকসম্যান' হিসেবে একটি বই রচনা করেছিলেন। আয়েশা জালাল একজন শিক্ষাবিদ হলেও বাংলাদেশবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয় সম্পর্কে তার একটি নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। আহমেদ রশিদ একজন পাকিস্তানের একজন সাংবাদিক। তিনিও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য। তবে মানবাধিকারকর্মী হলেও তিনি বাংলাদেশবিদ্বেষী রয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী এই ব্যক্তিগুলোকে চিহ্নিত করেছে এবং এই ব্যক্তিগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তারা বাংলাদেশ এবং সরকারবিরোধী অপপ্রচারের কাজটি করছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭