ইনসাইড টক

‘৬০ শতাংশ লিংক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধ করা হয়েছে’


প্রকাশ: 25/01/2022


Thumbnail

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, অপপ্রচারটা যেখানে হচ্ছে সেটিকে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বাংলাদেশে তৈরি না, এগুলো হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে মাধ্যম সেই মাধ্যমগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি, তাদের যে পলিসি সেগুলোর উপর ভিত্তি করেই পরিচালিত হয়। সেই কারণে শুধু বাংলাদেশ না, সকল দেশের জন্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করে। শুধুমাত্র অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য দেয়া কিংবা মানহানিকর বিষয় না। এটি রাষ্ট্রবিরোধী কাজে যুক্ত থাকে, সন্ত্রাসে যুক্ত থাকে এবং সাম্প্রদায়িকতা তৈরিতে ভূমিকা পালন করে। এসব নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের আইনি অবকাঠামো ছিলো না। যেটা ছিলো তা হলো আইসিটি অ্যাক্ট-২০০৬, যেটা ২০১৩ সালে সংশোধিত হয়। এর মধ্যে বহুল আলোচিত কয়েকটি ধারা যেমন- ৫৭ ধারা, ৫৪ ধারা যুক্ত করা ছিলো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার, অপপ্রচার রোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৩ সালে যখন হেফাজতের কর্মকাণ্ড গুলো হয় তখন তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলা করার জন্য সংশোধন করা হয়। বস্তুতপক্ষে এটা ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য টার্গেট করাও ছিলো না। ২০১৮ সালে আমি দায়িত্ব নেয়ার পরপরই আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করি। এই আইনে আইনি কাঠামোটা দেয়া হয়েছে। আইনি কাঠামোর যেটা সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এটি তো বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য, বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু যে প্লাটফর্মটা আমাদের না সেই প্লাটফর্ম তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা।

অপপ্রচার রোধে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দিক থেকে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না তথ্যটি সঠিক নয়। আমাদের দিক থেকে পদক্ষেপ নিয়ে আমরা একবার ফেসবুক বন্ধও করেছিলাম। বন্ধ করে দেয়ার পর ১৫ দিনের বেশি এটা বন্ধ ছিলো। আমরা মনে করি, বন্ধ করাটা সমাধান নয়। কারণ, মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না। ওষুধ খেয়ে এটাকে সারাতে হবে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ফেসবুক-ইউটিউবের সাথে আমাদের কোন যোগাযোগই ছিলো না। আমি এসে তাদের সাথে যোগাযোগ করি, তাদের সাথে বৈঠক করি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতেই প্রথম এদের উচ্চপর্যায়ের আমেরিকান কর্মকর্তাদের সাথে বার্সেলোনায় বৈঠক করি।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত নিয়মিত প্রায় তিন মাস পরপর আমরা একটা করে অফিসিয়াল মিটিং করি। কখনো ভার্চুয়ালি করি, কখনো ফিজিক্যালি করি। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে না এটা একেবারেই ভুল তথ্য। আমরা এখন সবকয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করি। তাদেরকে প্রতিদিন শত শত লিংক পাঠাই। এই লিংকের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় শতকরা ৬০ শতাংশ লিংক ওরা বন্ধ করেছে। এটা আমাদের জিরো ছিলো। আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় এসে জিরো থেকে ৬০ ভাগ পর্যন্ত আমরা আনতে পেরেছি। তারা আমাদের বাংলাদেশের জন্য এখন একজন প্রতিনিধিও দিয়েছেন একজন বাংলাদেশী নাগরিককে। তারা আমাদের সাথে প্রায় প্রতিদিনিই যোগাযোগ করি।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা ইউটিউব, গুগল, টিকটকসহ সকলের সাথে কথা বলেছি। এইটুকু আমি বলতে পারি, ২০১৮ সালে যে ভয়ঙ্কর অবস্থায় ছিলাম তার চাইতে অনেক ভালো এখন। আমরা এরইমধ্যে আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা তৈরি করেছি। কোন ওয়েবসাইট যদি ক্ষতিকর কিছু করে, অনিবন্ধিত হয়, বেআইনি হয়, সেগুলোকে আমরা বন্ধ করে দিতে পারি। ইতোমধ্যে আমরা ২২ হাজার  পর্নো সাইট বন্ধ করেছি, ৬ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি এবং অনিবন্ধিত সাইট বন্ধ করেছি।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭