ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিপিএল: দিনের আলোতে কেনো রান নেই মিরপুরে?


প্রকাশ: 26/01/2022


Thumbnail

বিপিএলের অষ্টম আসরের প্রথম পর্ব শেষ হলো। এই পর্বে মোট আটটি ম্যাচ ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। নানা সমালোচনাকে সঙ্গী করে এবারের বিপিএল শুরু হলেও প্রথম আটটি ম্যাচে বড় ধরনের কোনো ইস্যু তৈরি হয়নি। করোনার এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও এখন পর্যন্ত বড় ধরনের সমস্যা ছাড়াই ম্যাচগুলো আয়োজন করতে পেরেছে বিসিবি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ডিআরএস না থাকার কারণে ব্যাপক সমালোচনা হলেও টুর্নামেন্টের অষ্টম ম্যাচ ব্যতীত এখন পর্যন্ত আম্পায়ারদের বিপক্ষে ভুল সিদ্ধান্ত দেয়ার গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে, বরাবরের ন্যায় এবারও ক্রিকেট ভক্তরা প্রশ্ন তুলেছে মিরপুরের উইকেট নিয়ে। 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য মিরপুরের উইকেট যেনো পারফেক্ট নয়। মিরপুরের উইকেট মানেই রান কম হবে এমনটাই এখন ধারণা হয়ে গিয়েছে সকলের। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ার কারণে অনেকে ধারণা করেছিল এবার হয়তো স্পোর্টিং উইকেটের দেখা মিলবে। তবে সে রকম কিছুই হয়নি। ফলে, প্রথম আট ম্যাচের চারটি ম্যাচই হয়েছে লো-স্কোরিং। আরও বিশেষ করে বলতে গেলে দিনের সবগুলো ম্যাচই হয়েছে লো-স্কোরিং। 

মিরপুরে দিনের ম্যাচগুলোতে রান না উঠলেও সন্ধ্যার ম্যাচগুলোতে প্রচুর রান হচ্ছে। যদিও ধারণা করা হচ্ছে শিশিরের কারণে বোলাররা নিজেদের স্বাভাবিক বল করতে না পারার কারণে রাতে ব্যাটাররা সুবিধা পাচ্ছে। তবে দিনে কেনো ব্যাটাররা রান পাচ্ছে না সেই প্রশ্ন অনেকের মাঝে। 

মিরপুর এখন পর্যন্ত ৪টি ম্যাচ দিনের বেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই চার ম্যাচের প্রথম ইনিংসের রান যথাক্রমে ১২৫, ৯৬, ১২৯ ও ১০০। যেখানে রাতের ম্যাচগুলোর প্রথম ইনিংসের রান যথাক্রমে ১৮৩, ১৬১, ১৯০ ও ১৫৮। দিন এবং রাতের রানের মাঝের এত ব্যবধানে চিন্তিত স্বয়ং বিসিবি সভাপতিও। 

মিরপুরের উইকেট মানেই স্পিন নির্ভর। দিনের ম্যাচগুলোতে শিশিরের প্রভাব না থাকায় স্পিনাররা বেশ সহায়তা পাচ্ছে , যার ফলে ব্যাটারদের রান তুলতে কস্ট হচ্ছে। অনেক বিদেশী ক্রিকেটার যেমন এমন উইকেটে খেলে অভ্যস্ত নয় তেমনি দেশের স্থানীয় সকল ক্রিকেটারের মানও উঁচু মানের নয়। ফলে সব মিলিয়ে স্পিনারদের বিপক্ষে বোলিংয়ে রান তোলা কস্ট হয়ে যাচ্ছে ব্যাটারদের জন্য। 

মিরপুরে দিনের ম্যাচগুলোতে প্রথম ইনিংসে রান না হওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ হলো ওপেনিং জুটি ব্যর্থ হওয়া। দিনের ম্যাচগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, প্রথমে যে দলই ব্যাট করেছে তারা শুরুতেই দুই-তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। এর ফলে তারা দ্রুত রান তোলার পরিবর্তে উইকেটে থাকাতেই বেশী মনযোগ দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শুরুতেই উইকেট হারালে স্বাভাবিক ভাবেই চাপে চলে যায় ব্যাটিং দল। ফলে, আগে ব্যাটিং করা দলের পক্ষে বড় রান করা সম্ভব হচ্ছে না। 

দিনের প্রথম ম্যাচ লো-স্কোরিং  হওয়ার পেছনে আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে ব্যাটারদের মাইন্ড সেট। মিরপুরের উইকেটে বড় শর্ট খেলা যাবে না, দ্রুত রান  তোলা যায় না এমন নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা আগে থেকেই ব্যাটারদের মাইন্ডে সেট থাকে। ফলে তারা উইকেটে এসে ঝুঁকি নিতে চায় না। বরং, ধীরে সুস্থে তারা ব্যাটিং করে রান করতে পছন্দ করে। আর এর ফলে দেখা যায় যে,  নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দলের রান ১২০-১৩০ এর বেশি হয় না।

এছাড়া আরও কিছু কারণেই মূলত বিপিএলে দিনের ম্যাচগুলোতে খুব বেশি রান হতে দেখা যায়নি। মিরপুরের ধারা অব্যাহত না রেখে চট্টগ্রামের উইকেটে দলগুলো দিনের প্রথম ম্যাচে কেমন রান তুলতে পারে এখন সেটিই দেখার বিষয়। উল্লেখ্য যে, বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে, যেখানে প্রথম  ম্যাচেই মাঠে নামবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭