আবারও করোনা আঘাত হেনেছে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএলে)। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই একের পর এক ছোবল বসিয়ে যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা।
কিছুদিন আগেই ৩ জন ক্রিকেটার এবং ৫ জন সাপোর্ট স্টাফ কোভিড পজিটিভ হন পিএসএলে। এবার কোভিড পজিটিভ হয়েছেন করাচি কিংসের প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তী পেসার ওয়াসিম আকরাম। সাথে পেশোয়ার জালমির দুই ক্রিকেটার ওয়াহাব রিয়াজ ও হায়দার আলিও পজিটিভ হয়েছেন। একবার কোভিড পজিটিভ হওয়ার পর আইসোলেশন এবং পরপর দুইবার পিসিআর টেস্টে নেগেটিভ হয়ে তারপর দলের সাথে যোগ দিতে পারবেন ক্রিকেটার এবং স্টাফরা।
পেশোয়ার জালমির দুই ক্রিকেটার কামরান আকমল ও আরশাদ ইকবাল পজিটিভ হয়েছিলেন আগেই। যার ফলে এখন পেশোয়ার দলে কোভিড পজিটিভ ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ালো ৪ এ। আগামী ২৭ জানুয়ারি মুলতান সুলতান্স এবং করাচি কিংসের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে পিএসএলের এবারের আসর। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে যেকোনো ধরনের জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পিসিবি প্রধান রমিজ রাজা।
পিএসএলে অংশ নিতে যাওয়া সকল ক্রিকেটার ইতোমধ্যে আছেন কোয়ারেন্টিনে। মাঠে নামার আগে তিনবার কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ হতে হবে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে। টুর্নামেন্টের পরিচালক সালমান নাসির জানিয়েছেন, ২০ জানুয়ারি প্রথম কোভিড ধরা পড়ার পর থেকে আরও ২৫০ বার কোভিড টেস্ট করা হয়েছে।
নাসির জানান, ‘সর্বশেষ ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত বৃহস্পতিবারের পর থেকে ২৫০ বার টেস্ট করা হয়েছে। পজিটিভ হওয়া ব্যক্তিরা এখনো পর্যন্ত আইসোলেশনে আছেন।’
রমিজ আগেই জানিয়েছিলেন, যদি উভয় দলে ১৩ জন করে কোভিড নেগেটিভ ক্রিকেটার থাকেন তখনই ম্যাচ শুরু হবে। যার অর্থ দাঁড়ায়, একটি দলে সর্বোচ্চ ৯ জন কোভিড পজিটিভ থাকলে তারা খেলতে পারবে।
তাছাড়া ড্রাফটে দল না পাওয়াদের মধ্যে থেকে ১৫-২০ জন ক্রিকেটারকে আলাদা করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেন কেউ কোভিডের কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলে দলগুলো দ্রুতই বদলি খেলোয়াড় দলে নিয়ে নিতে পারে। কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করলে ১০ দিনের বিরতি দিয়ে প্রতিদিন ২টি করে ম্যাচ আয়োজন করে টুর্নামেন্ট চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে পিসিবি।