ইনসাইড বাংলাদেশ

ভূমি অধিগ্রহণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী


প্রকাশ: 27/01/2022


Thumbnail

জেলা প্রশাসকের এই প্রতিবেদনকে অস্বীকার করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন যে, উত্তরাধিকারসূত্রে হয়তো আমার পৈত্রিক ভিটায় আমার অধিকার থাকতে পারে কিন্তু আমি চাঁদপুরে কোথাও ক্রয়সূত্রে কোন জমির মালিক নই।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূমিগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ১৩ বছর হলো আমি সেখানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমার ভাইয়ের যে জমিটির কথা বলা হয়েছে লক্ষীপুরে সেখানে তিনি হাসপাতাল এবং বৃদ্ধাশ্রম করার জন্য কিনেছিলেন। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং আমি শিক্ষামন্ত্রী সেজন্য তিনি এই জমিটি হস্তাতর করে দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি হয়েছে কি না তা সরকারি বিভিন্ন সংস্থা খুঁজে বের করতে পারে। রাজনৈতিক সুবিধা নিতে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একটি কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমার বা আমার পরিবারের এই জায়গা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যারা এই বিষয়ে এমন তথ্য ছড়িয়ে হয়রানি বেড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই জায়গায় আমার বা পরিবারের কারও জমি নেই। রাজনৈতিক কোনো সহককর্মীর জমি থাকতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের কেউ কোনো ধরনের দুনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তবে অন্য কেউ দুর্নীতি করেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা উচিত এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চাঁদপুরে যখনই কোনো উন্নয়নকাজে হাত দেওয়া হয় একটি মহল এর প্রবল বিরোধীতা করে থাকে। তবে কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা চক্রান্ত এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বাধা হতে পারবে না। উন্নয়ন কাজ ও একাডেমিক কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি তদন্ত ও অনুসন্ধানে সরকারের বেশ কয়েকটি সংস্থা রয়েছে। আমি আশা করবো ওইসব সংস্থা তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য বের করবে। দুর্নীতি হয়ে থাকলে যারা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে এই বিষয়ে আমার ভাই ও আমাকে রাজনৈতিকভাবে জড়ানো হয়েছে। তবে আমি খুব স্পষ্টভাবে কিছু তথ্য জানাতে চাই, সেটি হলো- চাঁদপুরে আমার ক্রয়সূত্রে কোনো জমি নেই। উত্তরাধিকার সূত্রে আমার পৈতিক ভিটায় কোনো জমি হয়তো থাকতে পারে। কিন্তু আমার কোনো জমি নেই।

তিনি বলেন, রিপোর্টে যে নাম এসেছে ডা. টিপু তিনি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি আমার বড় ভাই। প্রকাশিত রিপোর্টে এখানে আরও কিছু মানুষকে আমার পরিবারের সদস্য বলা হয়েছে। তারা আমার রক্তের সম্পর্কের বা পরিবারের সদস্য নয়। কিন্তু তারা আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। আমি জানিনা আমার রক্তের পরিবারের সদস্যরা আমার জন্য কোনো ঝুঁকি নেবেন কি- না! কিন্তু আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যরা আমার জন্য ঝুঁকি নেবেন।

চাঁদপুরের রাজনৈতিক নেতাদের এ বিষয়ে কোনো ইন্ধন আছে কী না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এখনই আমি কিছু এ বিষয়ে বলতে চাইনা। দলীয় ফোরামে আমি এটি উত্থাপন করবো।

ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে এমন দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, চাঁদপুর শহর ভাঙনের কারণে অনেক ছোট ও অনেক ঘনবসতি। আমরা জানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো সমস্যা হলে হাইওয়ে বন্ধ হয়ে যায়। সেই বিবেচনায় আমরা জমিটি পছন্দ করি। এছাড়াও আমরা কোথায় জমি পছন্দ করছি, তার সঙ্গে প্রশাসনের লোকজনও জড়িত ছিল। এই জমির সঙ্গে টেকশই বাঁধ রয়েছে। এছাড়াও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রও দিয়েছিল।

এসময় আগামী শিক্ষাবর্ষেই চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭