ইনসাইড এডুকেশন

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করবেন জাফর ইকবাল


প্রকাশ: 27/01/2022


Thumbnail

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সঙ্কট তা আংশিক সমাধান হয়েছে, পুরোপুরি সমাধান হয়নি। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের হস্তক্ষেপের কারণে শিক্ষার্থীরা সাতদিন পর তাদের অনশন ভঙ্গ করেছে। জাফর ইকবাল নিজে বলেছেন যে, তিনি শিক্ষার্থীদের যে ন্যায্য দাবি-দাওয়া আছে সেগুলো নিয়ে তিনি সরকারের সাথে কথা বলবেন এবং যদি সরকার দাবি-দাওয়া না মানে তাহলে তিনি নিজেও আন্দোলনে যুক্ত হবেন। উল্লেখ্য যে, জাফর ইকবালকে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেছে সরকারই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের একটি উচ্চপর্যায়ের দল ড. জাফর ইকবালের মহাখালীর বাসভবনে যায় এবং জাফর ইকবালকে সংকট নিরসনে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানায়। এ সময় জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কতগুলো বিষয় তিনি সুস্পষ্ট হন।

জানা গেছে যে, সরকারের পক্ষ থেকে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে বলা হয়েছে যে তিনি যেভাবে এ সংকট নিরসনের প্রস্তাব করবেন সেটি সরকার মানবে। আর এই সম্মতির ভিত্তিতেই ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল সিলেটে যান এবং শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তিনি একটি সুনির্দিষ্ট দাবি-দাওয়া নিবে এবং সরকারের সঙ্গে এটি নিয়ে কথা বলবেন। তবে গতকাল শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, উপাচার্যের পদত্যাগ সংকট সমাধানের কোনো সমাধান নয়। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন যে, এখন যে পরিস্থিতি তাতে অন্যান্য দাবি-দাওয়াগুলোর ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বিলম্ব করতে পারেন বা নমনীয় হতে পারেন কিন্তু উপাচার্যের পদত্যাগের ব্যাপারে তারা ন্যূনতম নমনীয়তা দেখাবেন না। তারা বলছেন যে, উপাচার্যকে যেতেই হবে। আর সে কারণেই উপাচার্য কিভাবে যাবেন, সেটি একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে মনে করছেন যে, উপাচার্য নিজে যদি পদত্যাগ করতেন তাহলে সংকটের সমাধান অনেক ভালোভাবে হতো। সরকারের জন্য উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া বিব্রতকর।

উল্লেখ্য যে, অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ দ্বিতীয়বারের মতো উপাচার্য হয়েছেন। প্রথম চার বছর ফরিদ আহমেদ ভালো চালিয়েছিলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন যে, এই মুহূর্তে উপাচার্য পরিবর্তন করলে নতুন কোন ভালো উপাচার্য পাওয়া যাবে না। তবে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারের মধ্য থেকে কেউ কেউ বলছেন যে, বর্তমান শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলসি কুমার দাস এবং ড. আনোয়ারুল ইসলাম, তারা যদি উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে পরিস্থিতি শান্ত হতে পারে। কিন্তু উপাচার্য নিজে পদত্যাগ করবেন কিনা সেটি একটি বিষয়। একটি পক্ষ চাচ্ছেন যে, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে তিনি যেন ছুটি নেন বা পদত্যাগ করেন। তাহলে এই আন্দোলনটিকে আপাতত নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হবে। অধ্যাপক জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে সরকারের কাছে একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেবেন বলেও জানা গেছে। আর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জাফর ইকবাল যে প্রস্তাবনা দিবেন এবং যেভাবে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭