ইনসাইড বাংলাদেশ

জলাধার কীভাবে বরাদ্দ দিলেন: রেলমন্ত্রীকে মেয়র আতিক


প্রকাশ: 27/01/2022


Thumbnail

রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন জলাধারের জায়গায় বড় একটি বিলবোর্ড লাগানো ছিল। সেখানে লেখা, ‘সাইট ফর ফাইভ স্টার হোটেল অ্যান্ড শপিং কমপ্লেক্স- মিলিনিয়ান হোল্ডিং লিমিটেড। যেটি পাঁচ তারকা হোটেল ও শপিং কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্দ দেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) জলাধারের জায়গা উদ্ধারে অভিযানে যান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। জায়গাটি বাংলাদেশ রেলওয়ের হওয়ায় শুরুতেই মেয়র রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন।

এ সময় মোবাইলে আতিকুল ইসলাম রেলমন্ত্রীকে বলেন, এটা তো জলাধার আপনারা কীভাবে এ জায়গা বরাদ্দ দিলেন? খিলক্ষেত, এয়ারপোর্ট রোড, নিকুঞ্জসহ আশপাশের সব এলাকার পানি এখানে জমা হয়। এটা যদি ভরাট করে পাঁচ তারকা হোটেল এবং শপিং কমপ্লেক্স হয়, তাহলে তো বর্ষায় আশপাশের এলাকা ডুবে যাবে। জলাধার দখল করে আমি কোনোভাবেই এটা এখানে হতে দেব না। এ সময় রেলমন্ত্রী এবং রেলের মহাপরিচালকের সঙ্গে মেয়রের এ কথোপকথন স্থানীয়রাও শুনছিলেন।

‘জলাধার দখল করে আমি কোনোভাবেই এটা এখানে হতে দেব না’ মেয়রের এ কথা শোনামাত্রই স্থানীয়রা সেখানে গড়ে ওঠা স্থাপনা ভাঙতে শুরু করেন। মুহূর্তেই অস্থায়ী স্থাপনার বেশকিছু অংশ ভেঙে ফেলেন। পরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বুলডোজার এসে সেটি গুড়িয়ে দেয়। এর আগে কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন জলাধারের পাশে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে পুরো এলাকা স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন তারা।

আতিকুল ইসলাম বলেন, জলাশয় আমাদের খুব প্রয়োজন। এ জলাশয়কে ঘিরেই আমরা একটি প্ল্যান করেছি, এখানে আমরা একটি ওপেন স্পেস করে দেব। আশপাশের সব এলাকার পানি এখানে এসে জমা হয়। এমন একটি জলাশয়ের জায়গা বাংলাদেশ রেলওয়ে পাঁচ তারকা হোটেল এবং শপিং মল করার জন্য কীভাবে বরাদ্দ দিল, এটা আমার বোধগম্য নয়। ১.৮৪ একর জমি, যেটা জলাশয় সেটা তারা কীভাবে বরাদ্দ দেয়?

তিনি আরো বলেন, রেলওয়ের ডিজিকে জিজ্ঞেস করার পর উনি বললেন, স্যার এটা জলাশয়? আমার বিষয়টি জানা ছিল না। এখানে ভরাট করে স্থাপনা করা হলে বর্ষায় নিকুঞ্জ, খিলক্ষেত, এয়ারপোর্ট রোড তো তলিয়ে যাবে। তাই আমরা এটা কোনোভাবেই হতে দেব না। আইনি লড়াইসহ যা যা করার তা আমরা করব।

দেখা যায়, কুড়িল উড়ালসড়কসংলগ্ন এলাকায় বিশালাকার একটি জলাধার রয়েছে। জলাধারের এক পাশে রেললাইন ও কুড়িল উড়ালসড়কের খিলক্ষেত-প্রগতি সরণি অংশ, অন্য পাশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। জলাধার ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। বালু ও মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে জলাধার। নিজেদের একটি অস্থায়ী কার্যালয়ও নির্মাণ করেছে মিলেনিয়াম কর্তৃপক্ষ। এই জলাধারে খিলক্ষেত, নিকুঞ্জসহ আশপাশের এলাকার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হয়। জায়গাটি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। জানা যায়, গত ডিসেম্বরে নিজেদের অব্যবহৃত ১ দশমিক ৮৪ একর রেলভূমি মিলেনিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেয়।

অভিযানের সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭