নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 08/12/2017
ঢাকার বাইরে স্থানীয় বাজারে নামমাত্র মূল্যে আলু বিক্রি হলেও ঢাকায় হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দামে। রাজধানাীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পুরনো আলু ২০-৩০ আর নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৮০ টাকায়।
জানা গেছে, ৮৪ কেজির এক বস্তা আলুর দাম ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতেও মিলছে না গ্রাহক।
এ অবস্থায় মজুদ আলু হিমাগার থেকে তুলে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। মজুদ আলুতে বড় অংকের লোকসানের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
ব্যবসায়ীদের বাড়তি মুনাফা ও পরিবহন ব্যয়ের কারণে বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা।
শুধু আলু নয়, অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এই বাজার সম্বয়হীনতার কারণে একদিকে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ভোক্তাদের বেশি দাম দিয়ে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হচ্ছে। আর মাঝখান থেকে সুবিধা নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা।
বাজারে আলুর দাম কমলেও ঝাঁজ কমেনি পেঁয়াজের। সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০-১২০ আর আমিদানি করা পণ্য বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাঁচামরিচের দাম।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভারতে এবার লাল পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে। এর কারণে বেশি দামে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। ফলে দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, এবার দেশি পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ হয়েছে অনেক দেরিতে। এতে সরবরাহ সংকটে পণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম সেভাবে কমেনি। ব্যবসায়ীরা জানান, এবার বৃষ্টির কারণে অনেক সবজিই ক্ষেতে থাকা অবস্থায় নষ্ট হয়ে গেছে। এতে লোকসান কৃষকেরই। উৎপাদন খরচ তুলতেই সবজির বাজার চড়া ।
কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি আলু ২০-৩০, ঢেঁড়স ৪০-৫০, বেগুন ৪০- ৫০, ঝিঙ্গা ৪০, পটোল ৪০-৫০, বরবটি ৪০-৫০, শসা ৪০-৫০, টমেটো ১১০, কচুর মুখী ৩৫-৪০, ধনেপাতা ১৬০, রসুন ৬০- ৭০ টাকা এবং আদা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ২০, বাঁধা কপি ২০, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।
চালের বাজারেও দেখা গেছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। ব্যবসায়ীরা জানান, বস্তাপ্রতি চালের দাম মানভেদে ৫০-১০০ টাকা বাড়িয়েছেন মিল মালিকরা। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।
খুচরায় চালের দাম মানভেদে কেজিতে দেড় টাকা বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৪, মিনিকেট ৬০ এবং নাজিরশাইল ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার স্থিতিশীল রাখাতে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৬০-৪৮০, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে রুই মাছের দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৪০০ ও কাতলা ৩৫০-৪৫০ টাকায়। তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০, রকমভেদে চিংড়ি ৬৫০-হাজার, ট্যাংরা ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/টিবি
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭