যে কারণে ভোট দিতে আসেননি তারা

ভোট না দেওয়া তারকাদের একজন হলেন প্রবীণ অভিনেতা ও প্রযোজক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। সত্তর ও আশির দশকের জনপ্রিয় এই নায়ক সম্প্রতি করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরেছেন। এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই অভিনেতা। তার স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি ভোট দিতে যাননি।

দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনাজ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ভোট দিতে আসেননি তিনি। 

ঢাকাই সিনেমার এই শীর্ষ নায়ক গত ডিসেম্বরের শুরু থেকে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি সেখানকার নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছেন। তাই শর্ত মতো তাকে আগামী ছয় মাস মার্কিন মুলুকে থাকতে হবে। যার কারণে তিনি দেশে আসেননি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে। এই নায়ক ২০১১-১৫ এবং ২০১৫-১৭ মেয়াদে শিল্পী সমিতির সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি আর প্রার্থী হননি।

একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর গত কয়েক বছর ধরে অভিনয়ের বাইরে। বর্তমানে তিনি সন্তান ও ভাই-বোনদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী। তবে তিনি শিল্পী সমিতির ভোটার। কিন্তু দেশে আসেননি ভোট দিতে। যদিও ২০২০ সালে ফিল্ম ক্লাবের নির্বাচনে তার দেখা মিলেছিল। তিনি ভোটও দিয়েছিলেন।

আলোচিত এই নায়িকা বর্তমানে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। গত মঙ্গলবার গাজীপুরে ‘মা’ নামে একটি ছবির শুটিং করতে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ফলে পরীমনিও আসেননি ভোট দিতে। পাশাপাশি এই নায়িকা এবার ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী প্রার্থীও হয়েছেন। কিন্তু কয়েকদিন আগে তিনি ঘোষণা দেন, নির্বাচন করবেন না।

এত সময় যাদের নিয়ে আলোচনা হলো, তাদের থেকে একটু ব্যতিক্রম দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। জয়া বর্তমানে দেশে আছেন বলে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন তার ঘনিষ্ঠ এক পরিচালক জাফর আল মামুন। কিন্তু শুক্রবার তিনি ভোট দিতে এফডিসিতে যাননি। কেন যাননি সেটা একটা বড় প্রশ্ন, যার উত্তর কেবল জয়াই জানেন।

এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একটি মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানদের এবং অন্যটি ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ আক্তারদের। দুই প্যানেলই বিভিন্ন পদে প্রার্থী একঝাঁক তারকা। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সকলেই। তবে শেষ হাসিটা কারা হাসেন, তা জানতে আর কিছু সময়ের অপেক্ষা।