জুয়াড়ির প্রস্তাব পাওয়ার কথা গোপন ও মাদক গ্রহণ করে সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তিতুল্য ক্রিকেটার ব্রেন্ডন টেলর। সাড়ে তিন বছর কোনো ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) টেলরের এই শাস্তি ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারতীয় এক ব্যবসায়ীর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় টেলরের, যার মধ্যে ফিক্সিং বিষয়ক কথাবার্তাও ছিল। সেই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ডলারও নিয়েছিলেন টেলর।
তবে ফিক্সিংয়ের বিষয়ে আইসিসিকে জানাতে দেরি করে ফেলেন, যার ফলে পেতে হল নিষেধাজ্ঞার মত শাস্তি। শাস্ত্রী মাত্রা বেড়েছে মাদক গ্রহণের কারণেও। সম্প্রতি নিজের অফিশিয়াল টুইটার একাউন্টে সবকিছু স্বীকার করে বিবৃতি দেন টেলর। তার কয়েকদিনের মাথায়ই এল শাস্তির ঘোষণা। অবশ্য টেলর নিজেই জানিয়েছিলেন, আইসিসির রীতি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার মত শাস্তি পেতে চলেছেন তিনি।
২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে অর্থনৈতিক টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। ক্রিকেটারদের বেতন দিতেও হিমশিম খাচ্ছিল বোর্ড। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই টেলরকে ফিক্সিংয়ের টোপ দেওয়া হয়। সেই ব্যবসায়ীর সাথে আলোচনা করার জন্য ভারতে যেতে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার পেয়েছিলেন টেলর। ছেলেমানুষি ভুলে সেখানে মাদকও গ্রহণ করে বসেন।
এরপর মাদক গ্রহণের ভিডিও দেখিয়ে টেলরকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে জুয়াড়ি চক্র। তাকে আরও ১৫ হাজার মার্কিন ডলার দিয়ে জানানো হয়, ফিক্সিং করলে দেওয়া হবে আরও ২ হাজার ডলার। ঘটনার ৪ মাস পর আইসিসিকে সবকিছু অভিহিত করেন টেলর।
তবে টেলর স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ফিক্সিংয়ের মত কোনো কাজে তিনি জড়িত ছিলেন না।