কালার ইনসাইড

জায়েদ খানের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ, মুখ খুললেন মুনমুন


প্রকাশ: 30/01/2022


Thumbnail

গত শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি ) বহুল আলোচিত শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছ। সভাপতি পদে জিতেছেন বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে জিতেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নির্বাচনের দিন মুনমুনের দিকে অভিযোগ উঠে যে, জায়েদ খান মুনমুনকে টাকা দিয়েছে, তাঁর পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য। কিন্তু মুনমুন এটি একটি অপপ্রচার বলে দাবি করেন।

আজ রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে তাঁর ভ্যারিফাইড ফেইসবুক একাউন্টে লাইভে এসে বলেছে, 'আমাকে একটা অভিযোগের মধ্যে ফেলা হয়েছে। টাকা নিয়ে ভোট দিয়েছি। আমার প্রশ্ন হলো রাস্তার মধ্যে টাকা দিয়ে কিনবে আমাকে, সে টাকা খেয়ে আমি ভোট দিবো। আমার নামে এ ধরনের একটা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।' ​

চিত্রনায়িকা মুনমুন নির্বাচনী দিনের ব্যাপারে বলেন, 'আমি এফডিসির গেট দিয়ে ঢুকি , একটা কালো মাস্কটা পরা ছিলাম। গেট দিয়ে ঢুকেই আমি মাস্কটা খুলে আমার বাম হাতে নিয়ে নেই এবং হাতে ব্যাগটা ধরা। জায়েদ আমাকে একটা পেপার দিলো, ওদের ইলেকশনের ছোট  ব্যানার ছাপানো হয়েছে সেটি। যা আমি কাল এফডিসিতেই ফেলে এসেছি। পেপার টা দিয়ে জায়েদ আমাকে বললো 'আপা খুব ব্যস্ত ছিলাম তাই আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারি নাই। আমার ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেইখেন। এই যে আমাদের ব্যানারটা দিলাম। ব্যানার টা  দেওয়ার সময় সে আমার যেকোনো একটা হাত ধরে ছিলো। সে  পেপার টা দিয়ে আমার হাত টা ছেড়ে দিলো আমি ব্যাগের চেইনটা খুলে মাস্ক টা ব্যাগের ভিতর রেখে চেইন বন্ধ করে দিলাম। পরে জায়েদ পেপার টা ধরে বললো এবার কিন্তু টিক চিহ্ন নাই, এবার আপনাকে ছাপ দিতে হবে। আর আমাকে কানে কানে বললো, আমাকে ফুল প্যানেলে ভোট দিয়েন, আমাদের সবাইকে ভোট দিয়েন, স্পেশালি ছোট ভাইটার দিকে খেয়াল রাইখেন'  ঠিক এই কথাটাই সে আমাকে বলছে। এরপর সে আমাকে দেখালো কিভাবে ভোট দিতে হবে। এরপর আরেকজন ক্যান্ডিডেট এলো সে চলে গেলো। এরপর আমার কাছে আসছেন ফাইতার এক্টর চুন্নু ভাই ,  চিত্র নায়ক রুবেল ভাই আমার সামনে দাঁড়ানো ছিলেন।  

ইলিয়াস কাঞ্চন স্যার কালকে বলছিলো আমার হাতে নাকি টাকার খাম ছিলো। মুনমুন একটা পেপার দেখিয়ে বললো এটা কি টাকার খাম ? 

এটাও বলেন তিনি, ' একচুয়ালি জায়েদ ছেলেটা আমাকে সম্মান করে, কখনো অসম্মানজনক কিছু বলেও নাই, অসম্মানজনক কিছু পাইও নাই। আমি জায়েদের সমন্ধে অনেক ভুল ধারনা করতাম কিন্তু এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে, ওকে নিয়ে যেসব অপপ্রচার চলেছে। আমি ভুল ধারনা করতাম মনে হয় ছেলেটা এরকমই। কিন্তু আজকে আমি প্রমাণ পেলাম জায়েদের নামে সম্পূর্ণ সব অপপ্রচার। অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুওই না। কারণ আমাকেও এখানে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে ফাঁসানোর পরে আমি এটা বুঝতে পেরেছি যে এটা সম্পূর্ণ একটা মিডিয়া ক্রিয়েটেড অপপ্রচার এবং আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি 'যেসব ইউটিউবাররা টাকার জন্য আমাদের মত সেলিব্রেটিদের  বিভিন্ন বদনামের ভিতরে ফেলছো তাদের বিরুদ্ধে একশন নিবো। খুব দ্রুত একশন নিবো।'


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭