বাংলাদেশের বিশ্বকাপের মূল মিশন শেষ হয়েছে আগের ম্যাচেই। কোয়াটার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ পড়ে যায় বাংলাদেশের যুবারা। বাকি ছিল পঞ্চমস্থান নির্ধারণী ম্যাচ। সেই ম্যাচেও কিনা জয় পায়নি বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক রাকিবুল হাসান। আগে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ২৩ রানের মাথায় তিন উইকেট হারালে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন ইফতেখার ও আরিফুল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন তাঁরা।
ইফতেখারের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ। এক আরিফুলই লড়াই চালিয়ে যান। ১২২ রানে অষ্টম উইকেটের পতনের পর একাই দলকে টেনে তোলেন আরিফুল। শেষদিকে তুলে নেন শতকও। শতক হাঁকিয়েই সাজঘরে ফিরেন আরিফুল।
আরিফুলের করা শতকে মান বাচে বাংলাদেশ যুবাদের। পাকিস্তানকে ১৭৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়া বাংলাদেশের বোলিংয়ে সাফল্য পেতে একটু দেরি হয়। পাকিস্তান যুবাদের দুই ওপেনার স্কোরবোর্ডে তোলেন ৭৬ রান। বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন নাইমুর রহমান।
লক্ষ্য ছোট হওয়ায় বড় কোনো ঝুঁকি নেননি দুই ব্যাটার হাসিবুল্লাহ খান ও ইরফান খান। দু’জনেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করেন। হাসিবুল্লাহ-ইরফান গড়েন ৬৪ রানের জুটি। তাঁদের জুটিতে বড় জয় উঁকি দিচ্ছিল পাকিস্তান যুবাদের। তবে ৭৯ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় হাসিবুল্লাহকে।
আব্দুল ফাসেহ ও আব্বাস আলির ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ২১ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান যুবারা। এই জয়ে টুর্নামেন্টে পঞ্চম স্থানে থেকে শেষ করল পাকিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন রাকিবুল।