নাটক ও টেলিভিশনের একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধীতা নিয়ে ‘নেতিবাচক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর’ ধারণা ও শব্দ ব্যবহারের অভিযোগে নিশো ও মেহজাবিনের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়েছে আদালত।
বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার তারিখ ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত প্রতিবেদন জমার জন্য ১৬ মার্চ তারিখ রেখেছেন। এ জন্য আদালত প্রতিবেদনটি জমার জন্য পরের তারিখ রাখেন।
এর আগে গত বছরের ১১ আগস্ট বশির আল হোসাইন নামের এক প্রতিবন্ধী অধিকার কর্মী মামলা দুটির আবেদন করেন।
একটি মামলা করা হয় ‘ঘটনা সত্য’ নামের একটি নাটক নিয়ে, যা চ্যানেল আইয়ের ঈদুল আজহার আয়োজনে ২৩ জুলাই প্রচার করা হয়েছিল।
এ মামলায় আসামি করা হয়েছে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, নাটকের চিত্রনাট্যকার মঈনুল সানু, পরিচালক রুবেল হাসান, অভিনেতা আফরান নিশো ও অভিনেত্রী মেহ্জাবীন চৌধুরীকে।
অন্য মামলাটি করা হয়েছে চ্যানেল আইয়ের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘টু দ্য পয়েন্ট’ এর ১১ জুলাইয়ের পর্ব নিয়ে, যেখানে একজন আলোচকের কথায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ‘নেতিবাচক ধারণা’র প্রকাশ ঘটেছে বলে অভিযোগ।
নাটকের মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ঘটনা সত্য’ নাটকে দেখানো সংলাপে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের বাবা, মা ও পরিবারকে ‘ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে।’
আর দ্বিতীয় মামলায় বাদীর অভিযোগ ‘টু দ্য পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের খেলা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের একটি মন্তব্য নিয়ে।
সেখানে অভিযোগ করা হয়, ওই টকশোতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার নিজের ছেলেটারে প্রতিবন্ধী বানাইয়া রাইখা আমি এখন আর্জেন্টিনার ছেলে ও ব্রাজিলের ছেলে নিয়া লাফাচ্ছি। লাফানো ঠিক আছে। আমরা অনেক ছোটবেলা থেকে ম্যারাডোনার ভক্ত, কিন্তু নিজের ছেলেটারে এভাবে প্রতিবন্ধী বানাব?’
দেশের ফুটবল খেলার মানের অবনতি, দুর্বল ব্যবস্থাপনা, ব্যর্থতা ও অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে ‘প্রতিবন্ধী বানাইয়া রাইখা’ ও ‘এভাবে প্রতিবন্ধী বানাবো’ শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে ‘নেতিবাচক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর’ ধারণা দেয়া হয়েছে বলে বাদীর অভিযোগ।
তিনি মামলার অভিযোগে বলেছেন, ‘এ ধরনের নেতিবাচক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হয়েছে।