ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে রাশিয়ার সাথে সমঝোতা স্মারক সই


প্রকাশ: 02/02/2022


Thumbnail

মহাকাশ বিষয়ক রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গ্লাভকসমসের সঙ্গে দেশের দ্বিতীয় কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ তৈরি ও উৎক্ষেপণ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছে সরকার। গ্লাভকসমসের সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আর্থ অবজারভেটরি ক্যাটাগরির এ স্যাটেলাইটটির নির্মাণের অভিযাত্রা শুরু হল। 

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) কার্যালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়। বিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুর ইসলাম এবং গ্লাভকসমসের মহাপরিচালক দিমিত্রি লস্কুতব নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

বিএসসিএল চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেনতিয়েভিচ মানতিতিস্কি এবং অনলাইনে রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান ও গ্লাভকসমসের মহাপরিচালক দিমিত্রি লস্কুতব উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ রাশিয়া সরকারের সহযোগিতায় নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ৫জি যুগে প্রবেশ করেছে। আমরা তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ স্থাপনে এরই মধ্যে কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি, যা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের তৃতীয় অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নির্মাণ করা। এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের মধ্য দিয়ে এর অভিযাত্রা আলোর মুখ দেখলো।

টেলিকম প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে স্বাধীনতার পর যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এবং বিশ্ব ডাক সংস্থার (ইউপিইউ) সদস্য পদ লাভ করে। ১৯৭৫ সালের জুনে বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের আধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সূচনা করেন। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশ হিসেবে তুলে ধরেছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের উদ্যোগ নেন বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার অবদান গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্ক আগামী দিনে আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ সরকারের একটি অনন্য প্রয়াস।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দু’দেশের বিদ্যমান চমৎকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক আগামী দিনে আরও সুসংহত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান অংশ নেওয়ায় গ্লাভকসমস মহাপরিচালক আনন্দিত বলে উল্লেখ করেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭