ইনসাইড টক

‘বিধিনিষেধ মানানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নেয়া উচিৎ’


প্রকাশ: 03/02/2022


Thumbnail

স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পরে প্রথম থেকে ডাব্লিউএইচও কিংবা বিভিন্ন গবেষকরা বলে আসছিলো যে এটার সংক্রমণ অনেক বেশি, ভয়াবহতা কম, মৃত্যুর হারটা কম। আমাদের দেশেও সেটা দেখেছি, সংক্রমণের হার বেশি হলেও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম। মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে কারণ যারা বয়স্ক তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। সে কারণে সংক্রমণ বাড়লে হয়তো মৃত্যুর সংখ্যাটা বাড়বে।

দেশে করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ বাড়ানো, বিধিনিষেধ না মেনে চলার প্রবণতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, প্রথমে ওমিক্রন আসার পর যে আলোড়ন লক্ষ করেছিলাম সারাবিশ্বে, ওমিক্রনের ভয়াবহতা নিয়ে কিন্তু আসলে এটার ভয়াবহতা কম। তারপরও সংক্রমণ যত বাড়বে, হাসপাতালে রোগীর চাপও বাড়বে। তাই এটাকে কম গুরুত্বহীন ভাবে দেখা উচিৎ না। কারণ, যে সংক্রমিত হচ্ছে তার পারিবারিক ক্ষতি, সময় নষ্ট, আর্থিক ক্ষতি এবং সবমিলিয়ে সরকারেরও ক্ষতি হচ্ছে। সুতরাং এটাকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা উচিৎ। স্কুল-কলেজগুলো যেভাবে বন্ধ আছে তাতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, ভ্যাকসিন নিতে হবে এবং ভ্যাকসিনের চলমান কর্মসূচীতে সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তাহলে সংক্রমণের গতিটা কমে আসবে। আর এই গতি কমে আসলে মৃত্যুর সংখ্যাও কমে আসবে। সংক্রমণের গতি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। 

তিনি আরও বলেন, বিধিনিষেধ যে গুলো সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে সেগুলোর জন্য সরকারের যেমন দায়িত্ব আছে পাশাপাশি জনগণকেও নিজ দায়িত্বে মানা উচিৎ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করছে। তবে আমার মনে হয় আরেকটু জোরদার করা উচিৎ। এই ১১ দফা মানার ক্ষেত্রে যে সকল মন্ত্রণালয় জড়িত তাদের উদ্যোগ নেয়া উচিৎ। জনসাধারণ এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নেয়া উচিৎ যেন স্বাস্থ্যবিধি মানে। 

বর্তমানে দেশে যারা মারা যাচ্ছে তাদের অধিকাংশই ভ্যাকসিন নেয়নি প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, সারা পৃথিবীতেই যারা মারা যাচ্ছে তাদের অধিকাংশই ভ্যাকসিন নেয়নি। ভ্যাকসিন নেয়াটা খুব জরুরি। আমাদের দেশেও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে অঙ্গীকার করেছিলেন যে, বিনা পয়সায় সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে, আসলেই বিনা পয়সায় দেয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন নেয়ার পদ্ধতিও অনেক সহজ করে দেয়া হয়েছে যাতে সকলে নিতে পারে। ছাত্র-ছাত্রী যারা তাদেরও সহজ পদ্ধতিতে টিকা নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আমার মনে হয় যে, সরকারের আরও প্রচার-প্রচারণা করা উচিৎ।

আমাদের মতো ঘনবসতির দেশে বিধিনিষেধ কতটা মানা সম্ভব প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যদি বিগত দুই বছরের কথা বিবেচনা করি, তাহলে আমরা দেখবো যে সংক্রমণের হার গত মাসেও ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল। মানুষও স্বস্তির জায়গায় ফিরে গিয়েছিল এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করা শুরু করেছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে যেতে শুরু করেছে। মানুষকে তার স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে আগের জায়গায় অর্থাৎ বিধিনিষেধ মেনে চলতে একটু সময় লাগবে। তবে আমি মনে করি যে, এই সমস্যাটি শুধু আমাদের দেশেই নয়, উন্নত বিশ্বেও একই অবস্থা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭