ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দেড়শ বছরের সাজার মুখে অং সান সুচি


প্রকাশ: 04/02/2022


Thumbnail

আবারো বড় ধরণের সাজার মুখে পড়তে যাচ্ছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি। সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরো একটি অভিযোগ এনেছে দেশটিতে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখা সেনা সরকার। নতুন আনা অভিযোগের পর এটি হলো সুচির বিরুদ্ধে আনা ১১তম অভিযোগ। 

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। 

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, অং সান সুচির বিরুদ্ধে আনা সবগুল অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তবে তিনি দেড়শো বছরের বেশি মেয়াদে সাজার মুখোমুখি হতে পারেন। 

মিয়ানমারের এই নেত্রীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলোতে প্রতিটি মামলায় পৃথকভাবে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে। আর সেই হিসেবে তার সাজার মেয়াদ হতে পারে ১৫০ বছরের বেশি। 

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ইনফরমেশন টিম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিজের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের জন্য ৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান গ্রহণ করেছিলেন অং সান সু চি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

অবশ্য বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ আনা হলেও এর বিচারিক কার্যক্রম ঠিক কবে নাগাদ শুরু হতে পারে সেটি ওই বিবৃতিতে জানানো হয়নি।

এর আগে গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও ৫টি অভিযোগ এনেছিল জান্তা সরকার। সেসময় জানানো হয়েছিল, এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিটির জন্য ১৫ বছর করে কারাভোগ করতে হতে পারে তাকে।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ইতোমধ্যে প্রায় এক ডজন মামলা করেছে মিয়ানমারের জাতীয় ক্ষমতায় আসীন জান্তা। রাজধানী নেইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রত আদালতেই বিচার চলছে সেসব মামলার। সব মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে তাকে কারাগারে কাটাতে হবে দেড়শো বছরেরও বেশি সময়। সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭