ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি হওয়ার দৌড়ে আমলারা


প্রকাশ: 05/02/2022


Thumbnail

বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদে আমলাদের প্রাধান্যের কথা বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে। আমলারাই এখন সব ক্ষমতার মালিক এমনটি প্রায়ই বলা হয়। জাতীয় সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আমলারা তাদের প্রশাসনিক গন্ডি পেড়িয়ে এবার রাজনীতির মাঠেও সরব হচ্ছেন। একাধিক আমলা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। তারা মনোনয়ন পাবেন কি পাবেন না সেটি পরের বিষয়। তবে বাংলাদেশে আগামী কয়েক বছরে রাজনীতির মাঠেও আমলাদের সরব পদচারনা যে দৃশ্যমান হবে এটা বলাই বাহুল্য। 

বিভিন্ন আমলারা আবসরের পরে তাদের নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন এবং নির্বাচন করবেন এমন অভিপ্রায় ব্যক্ত করছেন। আমলাদের এখন এমপি হবার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আর এ এমপি হওয়ার দৌড়ে বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত ৫০ জন আমলার খবর পাওয়া গেছে যারা তাদের নির্বাচনী এলাকায় কাজ করছেন, আওয়ামী লীগের সদস্য পদ নিয়েছেন। আবার অনেকে চাকরিতে থেকেই নির্বাচনী এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আগামী নির্বাচন না হোক, পরবর্তিতে যেন তারা নির্বাচন করতে পারেন সেই আশায়। আমলাদের এমপি হবার দৌড়ে যেসব শীর্ষ আমলারা আলোচনায় রয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, 

সাজ্জাদুল হাসান: সাজ্জাদুল হাসান প্রধানমন্ত্রীর সচিব ছিলেন। তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নেননি নির্বাচনকে মাথায় রেখে। এখন গণপ্রতিনিধি অধ্যাদেশ অনুযায়ী সরকারি চাকুরে অবসরের পর ৩ বছর পূর্ণ না হলে নির্বাচনের প্রার্থী হবার ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। আর এ কারনেই নির্বাচনকে মাথায় রেখে সাজ্জাদুল হাসান চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি এখন সক্রিয়ভাবে নেত্রকোনার রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন। প্রায়ই তিনি নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন লাভের দৌড়ে তিনি ভালোভাবেই টিকে আছেন বলেই বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

জিল্লার রহমান: জিল্লার রহমান সাবেক ঢাকার ডিসি এবং সমাজ কল্যাণ সচিব হিসেবে অবসর নেয়া। জিল্লার রহমানও রাজশাহীতে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছেন। তিনিও আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থী হতে চান এবং সে লক্ষ্যে তিনি এলাকায় ব্যাপক জনসংজম করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। 

আবুল কালাম আজাদ: আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ছিলেন। এরপর তিনি ৩ বছর প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আগামী নির্বাচনে তাকেও প্রতিযোগিতার মাঠে দেখা যেতে পারে বলে বিভিন্ন মহল মনে করছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব এবং সমন্বয়কারী থাকা অবস্থায় তিনি জামালপুরে বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। এখনও তিনি জামালপুরের রাজনীতিতে একটি বড় ফ্যাক্টর বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করবেন কিনা বা মনোনয়ন পাবেন কিনা সেটির ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

কবির বিন আনোয়ার: কবির বিন আনোয়ার এখনও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তার নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জে তিনি প্রায়ই যাচ্ছেন এবং সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনি এখন একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের হেভীওয়েট নেতা মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর কবির বিন আনোয়ার সিরাজগঞ্জের রাজনীতিতে একটা বড় ফ্যাক্টরে পরিণত হয়েছেন। তার সাথে আওয়ামী লীগের এমপি হাবিবে মিল্লাতের শীতল সম্পর্কের কথা শোনা যায়। সিরাজগঞ্জের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কমিটিগুলোতে তার লোকজনের সংখ্যাধিক্য বলেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন মনে করছে। কিন্তু সিরাজগঞ্জের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করলেও কবির বিন আনোয়ার এবার নির্বাচন করতে পারবেন না, যদি বর্তমান গণপ্রতিনিধি আইন থাকে। সেক্ষেত্রে তাকে হয়ত পরবর্তী সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। 

এছাড়াও বেশ কয়েকজন আমলা সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আগামী নির্বাচনের প্রার্থী হতে চান। আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্যদের মধ্যে ফরিদপুর থেকে মনজুর আহমেদ প্রাক্তন আলমা হিসেবে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭