ইনসাইড টক

‘নিরপেক্ষ লোক বলতে পাগল এবং শিশুকে বুঝে বিএনপি’


প্রকাশ: 08/02/2022


Thumbnail

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সপ্তম ধাপের ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। মানুষ নির্বাচনমুখী হচ্ছে, এটি বড় বিষয়। এ নির্বাচন গণতন্ত্রের বিজয়। নির্বাচনে কে জিতবে, কে হারবে, এটি বড় বিষয় না। বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা যেভাবে অপপ্রচার করেছিল, মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করার যে ষড়যন্ত্র করেছিল, মানুষ তাদের ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে প্রতিটি নির্বাচনেই মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে এবং ভোট দিচ্ছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এগুলো না ঘটলে আরও ভালো হতো। 

সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন, আওয়ামী লীগের ভরাডুবি, সার্চ কমিটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।

সার্চ কমিটি বা অনুসন্ধান কমিটি নিয়ে মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এস এম কামাল বলেন, মির্জা ফখরুলরা অতীতে যা যা করেছেন, সেই কথাগুলোই এখন তাদের মুখ দিয়ে বেরুচ্ছে। জিয়াউর রহমান থেকে খালেদা জিয়া, ২৮ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করেছিল? কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা না করেই সেই সময়কার রাষ্ট্র প্রধানরা, সরকার প্রধানরা তাদের দলীয় লোকদের নির্বাচন কমিশনে বসিয়েছিল। যার প্রমাণ আজিজ মার্কা কমিশন। এই কমিশন এক কোটি ২১ লক্ষ ভুয়া ভোটারের তালিকা করেছিল। নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া জন্য ছাত্রদলের ১৫০ জন ক্যাডারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। মির্জা ফখরুলরা তো এই অপকর্মগুলো করেছে। মির্জা ফখরুলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তখন বলেছিল, পাগল এবং শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ লোক নেই। আজকে তারা বাংলাদেশে নিরপেক্ষ লোক খুঁজতেছেন। এই নিরপেক্ষ লোক কারা? শিশু এবং পাগল লোকজন? বিএনপিকে এই বিষয়গুলো পরিষ্কার করতে হবে। তারা তো নিরপেক্ষ লোক বলতে পাগল এবং শিশুকে বুঝে বিএনপি। 

তিনি বলেন, আমরা মনে করি গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তিনি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চান এবং সেই লক্ষ্যেই অতীতের দুইটি কমিশন সকল দলের সাথে আলাপ-আলোচনা করে, সার্চ কমিটির দেওয়া তালিকা থেকে বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে এবং সুশীল সমাজের দাবির প্রেক্ষিতে এবার নির্বাচন কমিশন গঠন আইনও তৈরি করা হয়েছে। সরকার গণতন্ত্রের প্রতি  শ্রদ্ধাশীল বলেই সংসদে আইনটি পাস হয়েছে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই আইন পাস একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা বলছেন এই কমিশনে দলীয় লোক থাকবে। সার্চ কমিটি দলীয় কমিটি। কিন্তু এখানে তো কোনো দলীয় লোক নেই। বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্বপ্রাপ্ত, দক্ষ লোকদের নিয়েই এবারের সার্চ কমিটি করা হয়েছে। 

এস এম কামাল বলেন, সার্চ কমিটি ইতোমধ্যে বলেছে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নামের তালিকা চাইবে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন এবং সুশীল সমাজের সাথেও আলোচনা করে ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে এই সার্চ কমিটি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করছে। এ কারণেই তারা সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে এবং তারা বাংলাদেশকে আবারও অন্ধকারের দিকে ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছে। মির্জা ফখরুলদের এসব বক্তব্য বাংলাদেশের মানুষ কখনোই গ্রহণ করে নাই।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭