কালার ইনসাইড

‘প্রতিটি ব্যান্ডের নিজস্বতা থাকা উচিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 10/12/2017


Thumbnail

বয়স খুব বেশী হয়নি। বড়জোর বছর পাঁচ। এরই মধ্যে ‘বন্ধু’ শিরোনামে একটি অ্যালবাম রয়েছে ব্লু জিনস ব্যান্ডের। অ্যালবামের মায়া, কদম ও বন্ধু গানগুলো দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে শ্রোতাদের অনেক কাছে পৌঁছে গেছে ব্লু-জিনস। ভক্তও জুটেছে অনেক। সম্প্রতি বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে তাঁদের গান নিয়ে নানান ভাবনা-চিন্তা:

২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম অ্যালবাম বেরিয়েছিল। মাঝে প্রায় দুই বছর হতে চলছে ‘ব্লু জিনস’ ভক্তরা কোনো অ্যালবাম পাচ্ছে না কেন?

এটা ঠিক যে, এর পর থেকে আমরা আর নতুন কোনো গান রিলিজ করি নি। আমাদের প্রথম অ্যালবামে মোট ৮টি গান ছিল। আসলে একটা অ্যালবাম রিলিজ করার পর শ্রোতাদের কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন। আমদের গান শুনে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করা একটু কঠিন। উপলব্ধির জায়গা আছে বলে মনে করি। মঞ্চে দ্বিতীয় অ্যালবামের জন্য করা কিছু অপ্রকাশিত গান করছি।

‘ব্লু জিনস’ এর গান ঢাকার বাইরে মফস্বলে শোনে বলে মনে করেন?

প্রায়ই শহর ছাড়িয়ে অনেক দূরের শ্রোতারা আমাদের ফেসবুক পেজে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে। দেশের বাইরেও আমাদের অনেক ফ্যান- ফলোয়ার্স রয়েছে। আমরা শুধু ঢাকার ভেতর কনসার্ট করি না। ঢাকার বাইরেও আমরা অনেক কনসার্টের ডাক পাই। আমরা চাই, অন্যসব বড় বড় ব্যান্ডের মতো আমাদের গানও ছড়িয়ে যাক।

‘ব্লু জিনস’ এর তো একটা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সমসাময়িক বা নতুন ব্যান্ডে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অভাব কতখানি রয়েছে বলে মনে করেন?

আমাদের মধ্যে সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা থাকে। গান, ভিডিও এবং মঞ্চ পরিবেশনায় নিজস্বতা তুলে ধরার চেষ্টা করি। যেমন, আমরা বাংলাদেশে সর্বপ্রথম পানির নিচে গানের দৃশ্য ধারন করেছি। এরকম মজার মজার ভিডিও-এর আইডিয়া ব্যান্ডের দলনেতা ও গিটারবাদক সৌরিনের। এ পর্যন্ত যতগুলো ব্যান্ড বিখ্যাত হয়েছে, তাঁদের সবারই একটা নিজস্বতা আছে। অন্ধ অনুকরণ করে কখনো শ্রোতার কাছাকাছি পৌছনো যায় না। প্রতিটি ব্যান্ডের একটা নিজস্বতা থাকা উচিত।

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত বিশ্বমানের; তবুও আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের কাছে পৌঁছতে পারছে না কেন? কী কী বাধা রয়েছে বলে মনে করেন?

আজকের দিনে আমাদের জন্য এই প্রশ্নটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক একইভাবে এর উত্তরটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আসলে এর পেছনের প্রধান কারণ হলো প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম না পাওয়া। বিদেশী শিল্পীদের অবশ্যই তাদের যোগ্য সম্মান দিতে হবে, পাশাপাশি দেশের বরেণ্য শিল্পীদের প্রতি আমাদের সম্মান ও ভালবাসারও কোনো কমতি রাখা যাবেনা। তাঁদের মাধ্যমেই পুরো বিশ্বে আমাদের সুনাম ছড়াবে। তাঁদের প্রাপ্য সম্মান নিশ্চিত করতে হবে।

‘ব্লু জিনস’ কি শ্রোতাদের রুচির কথা মাথায় রেখে গান করে নাকি নিজেদের যেটা ভালো লাগে সেটাই করে?

এখনকার শ্রোতারা অনেক কিছুই বোঝে। গানকে সঠিকভাবে বিচার করতে জানে। তাই এমন কিছু করতে চেয়েছি যেটা আমাদের ভালোলাগার পাশাপাশি শ্রোতাদেরও ভালো লাগবে। আমাদের নিজেদের ভালো লাগাগুলো যে শ্রোতাদেরও মনে ধরেছে এটাই অনেক বড় পাওয়া।

আপনাদের সামনের পরিকল্পনা কী?

আগামী বছর আমাদের ২য় অ্যালবাম রিলিজ করব। অ্যালবামের কাজও প্রায় শেষের দিকে। যার মাধ্যমে আমরা নতুন ধরনের বেশ কিছু গান নিয়ে হাজির হব। আর এর বাইরে আমরা নিয়মিত কনসার্ট করছি। মোটামুটি দেশের সব প্রান্তেই যাচ্ছি, গান করছি, শ্রোতাদের সাপোর্ট পাচ্ছি। ‘ব্লু জিনস’ বরাবরই ভিন্ন কিছু নিয়ে আসতে পছন্দ করে। তাই আগামীতেও এর ব্যতিক্রম হবে না। আমদের সিগনেচার ধরে রাখার চেষ্টা করছি। আর এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সবার সাপোর্ট ও ভালোবাসা।


বাংলা ইনসাইডার/এফএইচপি/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭