ইনসাইড বাংলাদেশ

এক দশকেও শেষ হলো না সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত


প্রকাশ: 11/02/2022


Thumbnail

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার এক দশক পার হয়ে গেলেও এই হত্যা মামলা নিয়ে অগ্রগতির কোন দেখা মেলেনি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া নিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার আদালতের কাছে সময় চাওয়া ছাড়া দৃশ্যমান কোন অগ্রগতির দেখা মেলেনি এই হত্যা রহস্য নিয়ে। যদিও র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে ডিএনএ থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির ছবি প্রস্তুতের কাজ চলছে। 

রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এই দম্পতির লাশ মেলে তাদের বাসা থেকে। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাঁদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। 

নিহত হওয়ার আগে সাগর মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। 

আদালতে মামলার তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছে র‍্যাব। ১৫ মাস আগে জমা দেওয়া ওই প্রতিবেদনে র‍্যাব জানায়, ঘটনাস্থল থেকে জব্দ আলামত যুক্তরাষ্ট্রে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় দুজন অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গেছে। সেই ডিএনএ থেকে খুনে জড়িত ব্যক্তির ছবি প্রস্তুতের চেষ্টা চলছে।

এই মামলায় ১৬০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সন্দেহভাজন হিসেবে রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মো. সাইদ, মিন্টু ও কামরুল হাসান ওরফে অরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা বাসার গ্রিল কেটে চুরির ঘটনায় করা বিভিন্ন মামলার আসামি ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া বাকি আসামিদের মধ্যে ছিলেন সাগর-রুনির ভাড়া বাসার নিরাপত্তাপ্রহরী এনামুল ও পলাশ রুদ্র পাল এবং রুনির বন্ধু তানভীর রহমান। বর্তমানে জামিনে আছেন তানভীর ও এনামুল। বাকিরা কারাগারে।

সাংবাদিক দম্পতির নিহতের ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। থানা-পুলিশের বাইরে মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র‍্যাব। চার দিনের মাথায় এই হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। এর দুই মাস পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মামলার বাদী নওশের আলম বলেন, ‘তদন্ত সংস্থার সদিচ্ছা নেই, বিচার চেয়ে চেয়ে আমরাই এখন লজ্জিত। তাই আর বিচার চাই না।’ 

তদন্ত সংশ্লিষ্টদের নানা আশ্বাসে ১০ বছর কেটে গেছে। তারপরও এই চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮৫ বার আদালত থেকে সময় নেওয়া হয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭