অনেক কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে। আর কাদা ছোড়াছুড়ি চাই না। এক নির্বাচন নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমাদের শিল্পীদের মান-সম্মান বলতে কিছু থাকছে না। এখন আদালতের রায়ে যে-ই সাধারণ সম্পাদক হোক, তাকেই মেনে নিতে হবে। পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে। শিল্পীদের মাঝে বিভাজন থাকা ভাল নয়। এর অবসান এখনই করতে হবে। এ নিয়ে আর কোনো কথা বাড়ানো উচিৎ নয়। শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে চলমান অচলাবস্থা ও জটিলতা সৃষ্টি প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেছেন, চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
তিনি বলেন, বিষয়টি এখন আদালতই ফয়সালা করবে। এটি আদালতের বিষয়। আদালত যা সিদ্ধান্ত দিবে, আশা করি তা সকলেই মেনে নেবে। এর বাইরে আর কোনো কথা বলা উচিৎ নয়।
তিনি বলেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আগে সারাদেশের মানুষের ব্যাপক আগ্রহ ছিল। নির্বাচনের পর যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সুনামের পরিবর্তে বদনাম হচ্ছে। আমাদের মান-সম্মান বলতে কিছু থাকছে না। এক নির্বাচনে এত বদনাম আর কখনো হতে দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, শিল্পীদের শিল্পীর মতোই আচরণ ও কথাবার্তা বলতে হবে। এমন কিছু করা বা কথা বলা ঠিক না, যাতে অসম্মান হয়। ডিপজল বলেন, এমনিতেই সিনেমা নাই, তার উপর নির্বাচন নিয়ে কোন্দলÑএ নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করছে। নানা সমালোচনা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, সিনেমার খবর নাই, সমিতির নির্বাচন নিয়ে টানাটানি। এবার এসব ক্ষ্যান্ত দেয়া দরকার। আর একসুতাও আগানো উচিৎ নয়। আমি শিল্পীদের সবাইকে বলব, আলোচনা-সমালোচনা, পক্ষ-বিপক্ষে কথা না বলে, আসুন, আমরা সবাই একসাথে মিলেমিশে থাকি। চলচ্চিত্রের উন্নয়ন কিভাবে করা যায়, এ নিয়ে ভাবি, কাজে মন দেই।
উল্লেখ্য, এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ২১৯ ভোট পেয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভিলর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। গত কমিটিতেও তিনি একই পদে ছিলেন।