লিভিং ইনসাইড

মানহীন-অপুষ্টিকর হলের খাবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 11/12/2017


Thumbnail

“সুস্বাস্থ্য উন্নয়নের হাতিয়ার”- বাংলাদেশের জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১১ এর মূল প্রতিপাদ্য এটি। তবে আমাদের দেশের তরুণদের স্বাস্থ্য উন্নয়ন যে সম্ভব নয়, তা হলের খাদ্য তালিকার একটু নজর দিলেই বোঝা যায়। দেশের অনেক তরুণ-তরুণী পড়ালেখার উদ্দেশ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকেন। কিন্তু জীবনের প্রধান তিন মৌলিক অধিকারের শীর্ষে ‘খাদ্য’ থাকা সত্ত্বেও তাঁরা সঠিক পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন না।

হলগুলোতে যে ধরনের খাবার পরিবেশন হয়, তা খুবই নিম্নমানের। খাবার ক্যান্টিনে ঢুকতেই নাকে আসবে উৎকট গন্ধ। অপরিচ্ছন্ন টেবিল ও প্লেটভরা খাবারের ওপর মাছি। টেবিলগুলো পরিষ্কারে ব্যবহার করা হয় দুর্গন্ধযুক্ত অপরিচ্ছন্ন-স্যাঁতস্যাঁতে কাপড়। ধুলোয় ঢাকা প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন স্যাঁতস্যাঁতে রান্নাঘরের চারপাশে বর্জ্য-ময়লা ছড়ানো-ছিটানো। এক কথায়, রান্না, খাবার সংরক্ষণ ও পরিবেশন, সবটাই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে।

শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি! এমনই অবস্থা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব হল ক্যান্টিনের। সঙ্গত কারণেই খাবারের মান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। অসন্তুষ্ট তারা।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থী আবু তালহার অভিযোগ, হলের ক্যান্টিনের খাবারের মান নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। খাবারের দাম মানের তুলনায় অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হল ক্যান্টিনগুলোর খাবারের মানও এমনই। খাবার কতটা স্বাস্থ্যসম্মত, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী পারভিন আরা বকুল বলেন, ‘হলের খাবারের মান নিয়ে কিছু বলার নেই। কারণ কিছু বলেও এর কোনো সমাধান হয় না । তাই নিজেই রান্না করে খাই’।

তার বান্ধবী সুপ্রিয়া দাসের ভাষ্য, হলের খাবার খেয়ে অ্যাসিডিটিতে ভুগতে হয় এখন। খাবারে স্বাদ-মান কোনোটাই নাই।

মাস্টারদা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী রায়হান ভূঁইয়া জানান, আমার হলের খাবারের মান আগে খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু আমাদের প্রাধ্যক্ষ স্যার খাবারের মানোন্নয়নের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন ভালোই বলা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যান্টিনগুলোর খাবার যে নিম্নমানের তা নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে এই পুরনো ঘটনার সমাধানে এগিয়ে আসতে কর্তৃপক্ষের অনীহার শেষ নেই।

মেয়েরা হলে কোনোরকমে নিজেরা রান্না করে খেলেও ছেলেদের সেই সুযোগ নেই। কারণ ছেলেদের হল গুলোতে রান্নার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই নীলক্ষেত, চানখার পুল আর পলাশীই তাদের ভরসা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এই হোটেলগুলোতে বেশি টাকায় খাবার খেতে বাধ্য হন। অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক টানাপড়েনে শুধু পাউরুটি কলা খেয়ে দিন কাটিয়ে দেন।

খাবারের নিম্নমান নিয়ে ক্যন্টিনের এক পরিচালক মোহাম্মাদ ইয়াছিন বলেন, ‘সরকারি কোনো বরাদ্দ আমরা পাই না। ছাত্রদের কাছে থেকে যে দাম রাখি, তাতে এর চেয়ে ভালো খাবার আমি কেন, কেউ দিতে পারবে না’।


বাংলা ইনসাইডার/এমঅার/টিবি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭