ইনসাইড থট

আমি চ্যাম্পিয়নের বড় ভাই


প্রকাশ: 15/02/2022


Thumbnail

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে সম্মান জানানো হয়েছে। সম্মাননাটি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সব সদস্যের সম্মতিক্রমে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমি বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাকে বলতেই হবে ডা. আবদুল্লাহ শুধু একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক হওয়ার কারণেই নয়, বরং তাঁর বুদ্ধি, জ্ঞান এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই তিনি এটি অর্জন করেছেন। কিন্তু আমাদের দেশে কেউ কিছু একটা অর্জন করলেও তা সবার কাছে সমাদৃত হয় না। এটি শুধু আমাদের দেশে বললে ভুল হবে, বিশ্বের কোথাও হয় না। অনেক সময় কিছু লোক মূল্যায়নের বাইরে থেকে যায়, তবে বিনা যোগ্যতায় কেউ কোথাও মূল্যায়িত হয় না।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ ছাত্রজীবন থেকেই যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানেই উচ্চ শিখরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। অধ্যাপক আবদুল্লাহ বয়সে আমার অনেক ছোট। ফলে তাঁকে ছাত্রজীবনে খুব একটা চিনতাম না। তাঁর সঙ্গে আমার মূল পরিচয় হয় এক-এগারোর সময়। যখন রাষ্ট্র্রনায়ক শেখ হাসিনা বিনা দোষে গ্রেফতার হয়েছিলেন, তখন আমি, অধ্যাপক আবদুল্লাহ, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এবং জাতীয় অধ্যাপক শাহলা খাতুনসহ আরও অনেকে নেত্রীকে দেখতে সাব জেলে যেতাম। তখন থেকেই অধ্যাপক আবদুল্লাহর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতার সূত্রপাত। তখন আমরা একই মাইক্রোবাসে চড়ে নেত্রীকে দেখতে যেতাম এবং প্রায়ই একসঙ্গে ফিরতাম। এভাবে কখন যে আবদুল্লাহ আমার ছোট ভাইয়ে রূপান্তরিত হয়ে গেলেন, তা নিজেও টের পাইনি।

যখন অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ একুশে পদক পেলেন তখন খুবই খুশি হয়েছিলাম। খুশি হয়েছিলাম ছোট ভাই হওয়ার কারণে নয়, বরং একজন যোগ্য মানুষকে সম্মান জানানো হলো এ কারণে। এরপর তিনি যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকের দায়িত্ব পান তখনো আমি অত্যন্ত খুশি ও আবেগাপ্লুত হয়েছিলাম। অবশ্য এর কিছুদিন আগেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপকের দায়িত্ব পান। তিনি একদিকে রোগী দেখেন, অন্যদিকে অধ্যাপনা করেন। নিয়মিত রোগী দেখেও অধ্যাপনা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি এবং এখনো তিনি নিয়ম করে অধ্যাপনার জন্য নতুন রোডম্যাপ করছেন। যখন কোনো ছোট ভাই উদ্ভাসিত হয়, আলোয় আলোকিত হয় তখন সেই আলোর ঝলক বড় ভাইয়ের বদনকেও আলোকিত করে। সুতরাং ছোট ভাইয়ের আলোয় আমিও এখন আলোকিত। উদাহরণস্বরূপ আমি অনেকের কাছেই গর্ব করে বলি আমি সৈয়দ বোরহান কবীরের বড় ভাই। অনেক সাংবাদিক বন্ধুকে বলি আমি নঈম নিজামের বড় ভাই। ঠিক তেমনিভাবে যখন আমি ডা. আবদুল্লাহর বড় ভাই হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিই, তখনো আমি গর্ব অনুভব করি। জীবন সায়াহ্নে এসে বলতেই হবে, আমরা যেসব সম্মান অর্জন করতে পারিনি আমাদের ছোট ভাইয়েরা তা অর্জন করতে পেরেছে। বিষয়টি একজনের সঙ্গে আরেকজনের তুলনা করার জন্য আমি বলছি না। একটা উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

বর্তমানে পত্রপত্রিকায় বুদ্ধিবৃত্তিক কলাম লেখকের মধ্যে সৈয়দ বোরহান কবীর অন্যতম। শুধু তাঁর প্রজন্মেরই নয়, বর্তমানে কলাম লেখকদের প্রথম সারির দু-এক জনের মধ্যে সৈয়দ বোরহান কবীর একজন। আমি তাঁর প্রতিটি লেখা পড়ি, তাঁকে ফোন করে অভিবাদন জানাই এবং নিজের ভিতরে একটা গর্ব অনুভব করি এই ভেবে যে এটি আমার ছোট ভাইয়ের লেখা। তেমনিভাবে অধ্যাপক আবদুল্লাহ যখন ইমেরিটাস অধ্যাপকের সম্মান পেলেন তখন নিজেকে খুব গর্বিত মনে হয়েছে। আমি প্রথম দিন থেকেই দেখছি তিনি অত্যন্ত সাধাসিধে জীবনযাপন করেন। কোনোরকম ভণিতা নেই, পোশাক-আশাকও সাধারণ। দুর্ভাগ্যবশত মহামারি করোনার প্রথম দিকে তিনি সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ডা. আবদুল্লাহ করোনা থেকে মুক্তি লাভ করে নিজ কর্মস্থলে ফিরে যেতে সক্ষম হন। কিন্তু খুব দুঃখ ভারাক্রান্তভাবে এটাও স্মরণ করতে হয় তিনি এই বয়সে এসে প্রিয় সহধর্মিণীকে হারিয়েছেন। তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আসলে নেই। কিন্তু অধ্যাপক আবদুল্লাহ প্রিয় সহধর্মিণীকে হারিয়েও তাঁর দায়িত্ব পালন করে গেছেন। মাত্র যিনি সহধর্মিণীকে হারালেন, আমি দেখেছি তাঁর মুখের দিকে তাকানো যায় না, এ বিষাদ সময়েও তাঁর সঙ্গে আমার চিকিৎসা সংক্রান্ত আলাপ হয়, এমনকি সরাসরিও দেখা-সাক্ষাৎ হয়। কারণ আমাকে তিনি নিজের বড় ভাই মনে করেন। এ সময় আমি দেখেছি রোগীরা তাঁকে ফোন করছে, তিনিও উপদেশ দিচ্ছেন। যখন মানুষ ঘর থেকে ভয়ে বের হয় না, তখনো তিনি রোগীদের প্রতি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। এজন্য করোনাকালে জনসচেতনতার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কভিড হিরো’ পুরস্কারও পেয়েছেন। করোনাকালীন যে কোনো মিডিয়ায় দেখেন সব জায়গায় কিন্তু অধ্যাপক আবদুল্লাহর মুখই দেখা যেত। তিনি সাধারণ ভাষায় খুব যুক্তি দিয়ে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে কী কী করতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করেছেন এবং নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কী করে সুস্থ হবেন সে বিষয়ে তিনি উপদেশ দিয়ে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বেশ কিছু বিদেশি ওষুধ যা বাংলাদেশে এসেছে, সেগুলোর গবেষণায়ও তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। ফলে আমি বলতেই পারি আমি চ্যাম্পিয়ন আবদুল্লাহর বড় ভাই। অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ একাধারে চিকিৎসক, শিক্ষক এবং একইভাবে তিনি সাধারণ মানুষেরও ভরসার জায়গা। শুধু করোনাকালীনই নয়, বিভিন্ন সময় চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিষয়ে মিডিয়ায় সোচ্চার ছিলেন তিনি। তাঁর আরও একটি বিশেষ গুণ আছে। যেটি মেডিকেলের বাইরে আমজনতার জানার সম্ভাবনা খুব কম। তা হলো তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের ওপর অনেক বই লিখেছেন। বিশেষ করে নবীন ডাক্তারদের হাতে-কলমে শেখার জন্য তাঁর লেখা বইটি মেডিকেল পাস করা ডাক্তারদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য এ পর্যন্ত অর্ধডজন বই লিখেছেন এবং তাঁর লেখা বইগুলো এখন দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। বইগুলো ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তানেও যথেষ্ট জনপ্রিয়। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায়ও তাঁর বইগুলো চলে এবং বেশির ভাগ বই দিল্লি থেকে বের হয়েছে। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা বইগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হয়েছে এবং দিল্লির প্রকাশকরা ওই বইগুলো বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এখন বাংলাদেশে বসে একজন মেডিকেল শিক্ষকের পক্ষে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এভাবে অবদান রাখা বেশ কঠিন। তাহলে আমরা আবদুল্লাহকে কীভাবে মূল্যায়ন করব? তিনি একুশে পদক পেলেন তো তাঁর লেখার জন্য। তিনি ভালো চিকিৎসক হিসেবেও বেশ সমাদৃত। আবার একজন শিক্ষক হিসেবেও উঁচু মানের। এ ছাড়া করোনাকালে জনসচেতনতার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কভিড হিরো’ পুরস্কারও পেলেন। একজন ব্যক্তি প্রতিটি ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সম্মান পাচ্ছেন। এ কারণেই আমি তাঁর বড় ভাই হিসেবে আরও গর্ব অনুভব করি। কারণ এ রকম ছোট ভাই পাওয়া কজনের ভাগ্যে জোটে । বিশেষ করে আমাদের বয়সের কজনের এমন ছোট ভাই আছে, যিনি এতগুলো যোগ্যতা অর্জন করেছেন। অধ্যাপক আবদুল্লাহ প্রমাণ করেছেন শুধু মেধা থাকলেই হবে না, মেধাকে সঠিক জায়গায় সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে। তার পাশাপাশি শ্রমও দিতে হবে। আমি আগে সৈয়দ বোরহান কবীরকে হাসি-ঠাট্টার ছলে বলতাম, তোমার তো সময়-টময় কিছু নেই। এই দেখি হাসছ, আবার দেখি লিখে যাচ্ছ। অর্থাৎ একসঙ্গে সবকিছু করছ। কারণ তাঁর প্রতিটি লেখা যাঁরা পড়েন, তাঁরা দেখবেন তিনি কতটা ক্রিটিক্যাল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং পাঠককে নতুন চিন্তার খোরাক জোগান। এজন্য তাঁকে প্রচুর পড়তে হয়। অধ্যাপক আবদুল্লাহও অনেকটা এ রকম। তিনি চিকিৎসার জগতে আছেন, লেখাপড়ার জগতেও আছেন, আবার জনসাধারণের সঙ্গেও মিশছেন।

আজ আমি অধ্যাপক আবদুল্লাহ সম্পর্কে বলছি। অধ্যাপক আবদুল্লাহকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিকের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করেছেন এবং কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি হিসেবে আমাকে মনোনীত করেছেন। অধ্যাপক আবদুল্লাহকে আমি আমাদের বৈঠকে আসতে বলব এবং অনুরোধ করব তিনি যেন আমাদের সঙ্গে অবদান রাখেন। কারণ সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক স্বপ্নের একটি স্বপ্ন ছিল কমিউনিটি ক্লিনিক। সে স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করেছেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। দায়িত্ব পাওয়া একটি বিরাট সম্মানের কাজ। সে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে এই অধ্যাপক আবদুল্লাহর মতো চ্যাম্পিয়নদের সমর্থন লাগবে। আমি ভাগ্যবান আমি আরও অনেকের সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছি। কিন্তু আমি মনে করি যদি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আমার সঙ্গে থাকেন তাহলে অসাধ্যও সাধন করা সম্ভব। আমরা যদি ভালোভাবে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি তাহলে আমি বিশ্বাস করি অধ্যাপক আবদুল্লাহসহ আরও অনেকের সহায়তা নিয়ে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য তিনটি কাজ করতে পারবো। একটি হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একজনও যেন কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার বাইরে না থাকে তা লক্ষ্য করা এবং তারা যেন সঠিক সেবা পায় তার দিকেও তীক্ষ্ণ নজর রাখা। এর পাশাপাশি যাঁরা সেবা দিচ্ছেন তাঁদের প্রতিও সঠিকভাবে নজর দিতে হবে। সেটা কেন শতভাগ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না, তা আমি এখানে আলাপ করতে চাই না। যাঁরা সেবা প্রদান করছেন তাঁদের জন্যই এমনটি হচ্ছে বলে আমার ধারণা। দ্বিতীয় যে কাজ তা হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় চেয়েছেন জনগণের কাছে এই যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে তা তুলে ধরা। তাদের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি সংযোগ স্থাপন করা। কেননা প্রধানমন্ত্রী মনে করেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই তাঁর আসল শক্তি। এ দায়িত্বটিও অবশ্যই আমাদের পালন করতে হবে। শুধু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই নয়, এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের চিকিৎসার দায়িত্বও প্রধানমন্ত্রী পালন করেন। আপনারা জানেন এখন আর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না। দেশে পদ্মা ব্রিজ হচ্ছে, নদীর গহিন দিয়ে টানেল হচ্ছে, মেট্রোরেল হচ্ছে, অসংখ্য ফ্লাইওভার হচ্ছে। তবে আমার কাছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে তিনি দেশকে, দেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি এনে দিয়েছেন। একটি অনুন্নত রাষ্ট্র থেকে তিনি আমাদের উন্নত রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। উন্নত রাষ্ট্রের পথে আমরা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছি। সৃষ্টিকর্তা যেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে দীর্ঘজীবী করেন, আমাদের দেশকে প্রকৃত সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার সময়টুকু পান সে দোয়াই করি। এখানেও আমরা আমার ছোট ভাই চ্যাম্পিয়ন আবদুল্লাহকে পাব। সুতরাং আমি দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে দীর্ঘজীবী করুন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা জীবন সায়াহ্নে এসে কখন চলে যাই জানি না। অন্তত একজন সফল মানুষ হিসেবে জীবন শেষ করে যাচ্ছি, এটিই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। কেননা সফলতা তো একা একা আসে না। যৌথভাবে কিছু একটা করলে সফলতা আসে। আমার তো আপন ছোট ভাই নেই। তাঁরাই আমার ছোট ভাই, আমার পরিবারের লোক। আমি চাই সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের দোয়া কবুল করেন।

লেখক : সভাপতি, কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭