যুদ্ধের রেশ কি কিছুটা কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে? দুই মাসের বেশি সময় ধরে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন আর পশ্চিমা বিশ্বের যুদ্ধের সতর্কবার্তার মাঝে সীমান্ত এলাকা থেকে কিছু সেনা ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে রাশিয়া।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই সেনা ফিরিয়ে নেওয়া কাজ শুরু করে ক্রেমলিন।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েনরত কিছু সৈন্যকে সামরিক ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
কিয়েভ ও ক্রেমলিন পরস্পরের মাঝে ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিতের মাঝেই এই সেনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় সামরিক শক্তিধর দেশ রাশিয়া। এটি পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সৃষ্ট অচলাবস্থার অবসানের একটি ইঙ্গিত মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়ার সরকারি একাধিক বার্তাসংস্থা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রর বরাতে জানিয়েছে, ‘দায়িত্বপালন শেষে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভিন্ন সামরিক জেলার অধীনস্থ ইউনিটগুলো ইতোমধ্যে রেল ও সড়ক পরিবহনগুলোতে আসন গ্রহণ করতে শুরু করছে এবং আজই তারা সামরিক ঘাঁটিতে ফিরে যাবে।‘
অবশ্য ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত সংকট নিরসনে বা চলমান উত্তেজনা কমাতে ঠিক কতটা ভূমিকা রাখবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হামলা করতে পারে বলে আগেই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে ওয়াশিংটনের পশ্চিমা মিত্ররাও।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহর মোতায়েন করে রেখেছে। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পশ্চিমা একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা করে বসতে পারে রাশিয়া। একই আশঙ্কা প্রকাশ করছে ওয়াশিংটনের অন্যান্য মিত্র দেশগুলোও। এমনকি আগামীকাল বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এই হামলা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। যদিও নির্দিষ্ট কোনও তারিখের কথা নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
এদিকে, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা আগেই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মতো দেশগুলো। ফ্রান্সও এই ইস্যুতে ইউক্রেনের পক্ষে রয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে রাশিয়া ও চীন।