ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের আগেই বিএনপি থেকে বিতাড়িত হবেন খালেদা-তারেক?


প্রকাশ: 17/02/2022


Thumbnail

একদিকে বিএনপি বলছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা নির্বাচন কমিশন গঠনের কোন প্রক্রিয়ার মধ্যে নিজেদেরকে যুক্ত করেনি। কিন্তু বিএনপি'র ভেতরের খবর হলো, দলটির মধ্যে অসন্তোষ, বিভক্তি এবং মতদ্বৈধতা চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে জিয়া পরিবারের বাইরে বিএনপিকে বিজেপি আদলে সাজানোর জন্য একটি মেরুকরণের চেষ্টা চলছে বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। নির্বাচনের আগেই তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়াকে বিএনপি থেকে আলাদা করা হবে।

বেগম খালেদা জিয়া নিজেই শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং তিনি দলের কর্মকাণ্ডে থাকছেন না, দল পরিচালনায় তার কোনো ভূমিকাও নেই। আর সে কারণেই বেগম খালেদা জিয়া দলে থাকলো কি, থাকলো না সেটি বড় বিষয় নয়। বেগম খালেদা জিয়াকে অলংকারিক প্রধান হিসেবে রাখা হবে এবং তিনি শুধু নামমাত্র দলের দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে, তারেক জিয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটা নেতিবাচক ধারণা রয়েছে সকলের এবং তারেক জিয়ার নেতৃত্ব মেনে নিতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বাংলাদেশেও সাধারণ জনগণের মধ্যে তারেক জিয়ার ব্যাপারে একটি নেতিবাচক ইমেজ রয়েছে। আর এই কারণেই শেষ পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্ব তারেক জিয়াকে ছাড়তে হবে এবং এটি নিয়ে বিএনপিতে এখন নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো জানাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, তারেক জিয়া যদি বিএনপির দায়িত্ব থেকে নিষ্ক্রিয় হন বা দায়িত্ব ছেড়ে দেন, সেক্ষেত্রে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপিতে জনপ্রিয় নেতা এবং বিএনপির মধ্যে তার একটা ভালো গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এছাড়াও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপিতে বিভিন্ন পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে সমন্বয় এবং সমঝোতা করার কাজটা ভালোভাবে করতে পারেন বলেই অনেকে মনে করছেন। দীর্ঘদিন ধরে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করার জন্য একটি মহল তৎপর ছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোও এই তৎপরতায় যুক্ত হয়েছে। তারা মনে করছে এখন তারেক বা খালেদা জিয়া নয়, বিএনপিতে একজন সক্রিয় নেতা দরকার যিনি দলকে গোছাতে পারবেন। আর সেভাবেই ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নামটি সামনে চলে আসছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ড. মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে থাকতে পারেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। সেখানে ইকবাল মাহমুদ টুকুসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ নেতারা থাকবেন। তবে বিএনপির কেউ কেউ মনে করছেন যে, জিয়া পরিবারের বাইরে কেউ নেতৃত্ব নিলে সেটি মেনে নেওয়া হবে না, সেটি ষড়যন্ত্র হিসেবে গণ্য করা হবে। তারা মনে করছেন যে, নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিএনপি ভাঙার ষড়যন্ত্র করবে এবং সেই ষড়যন্ত্র হিসেবে হয়তো ড. খন্দকার মোশাররফ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দিয়ে আলাদা একটা বিএনপি করা হবে। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন যে, মান্নান ভূঁইয়া আর জেনারেল মাহবুবকে দিয়ে বিএনপিকে ভাঙার একটা চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সফল হয়নি, এবারও সেই চেষ্টা সফল হবে না। তবে এই চেষ্টা সফল হোক না হোক সেটা পরের বিষয়, বিএনপিতে যে একটি টানাপোড়েন চলছে এটা মোটামুটি নিশ্চিত।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭