ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার বিকল্প দেখছেনা বিদেশীরা


প্রকাশ: 17/02/2022


Thumbnail

বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে বিভিন্নমুখী চাপ দিচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে নিয়ে নানারকম অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ নড়েচড়ে বসেছে। আগামী নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয় সেজন্য ইতোমধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভূমিকা রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ডিকসনও সম্প্রতি রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি অনুষ্ঠানে আগামী নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এই সবকিছুর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ৪ এপ্রিল। বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এই যখন অবস্থা তখন পশ্চিমা দেশগুলো বর্তমান সরকার এবং আওয়ামী লীগ নিয়ে কি ভাবছে? বিভিন্ন কূটনৈতিক মহলে যোগাযোগ করে দেখা যায় যে, টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অনেকগুলো নেতিবাচক দিক রয়েছে। কিন্তু তারা মনে করছে যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই এবং আগামী নির্বাচনে বিরোধী পক্ষ থেকে নেতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো কোনো নেতা তারা দেখছেন না। আর এটি আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে ইতিবাচক দিকগুলো মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের ওপর সবচেয়ে বেশি চাপ প্রয়োগ করছে। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাত কর্মকর্তাকে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাংলাদেশকে লেহি আইনে সম্মতি স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত এরকম মনোভাবে যায়নি যে, বর্তমান সরকারকে হঠাতে হবে বা নতুন কোন দলকে ক্ষমতায় আনতে হবে। মার্কিন কূটনীতিকরা সুস্পষ্ট হয়ে বলছে, সরকার পরিবর্তন তাদের লক্ষ্য নয়, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশের সুশাসন, গণতন্ত্র এবং জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আর এটির মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংহত দেখতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নিয়ে অনেকগুলো আশঙ্কাও করে। যেমন: সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের উত্থান, উগ্র-মৌলবাদের দাপট ইত্যাদি। আর এই সবকিছু বিবেচনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেখছে যে, বর্তমান সরকারের যদি কিছু কিছু বিষয়গুলো সংশোধিত হয় তাহলে এই সরকারই ভালো। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ, এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।

বাংলাদেশ যে গত এক যুগে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে, এই বিষয়টিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্বীকার করে না। একইরকম মনোভাব দেখাচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও মনে করে যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব অগ্রযাত্রা সক্ষম হয়েছে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছেন জন্যই বাংলাদেশে এখনো সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারেনি। আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনার পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন মনে করে যে, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদমুক্ত রাখাটাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখে। আর এসব বিবেচনায় তারা মনে করে, এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। যুক্তরাজ্যে সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেকটাই ইতিবাচক। আর এই ইতিবাচক ধারাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য যুক্তরাজ্য মনে করে বাংলাদেশের সুশাসন এবং জবাবদিহিতা, দুর্নীতিমুক্তর বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আর এই সমস্ত ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো কাটিয়ে উঠাই তারা প্রধান লক্ষ্য মনে করছে, সরকার পরিবর্তন নয়। এই মুহূর্তে কোন উন্নয়ন সহযোগী বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প দেখছেনা, এটিই হলো আওয়ামী লীগের জন্যও সবচেয়ে আশার কথা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭