কে এই আকায়েদ উল্লাহ?

নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ব্যস্ততম বাস টার্মিনালের বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে আটক বাংলাদেশির নাম আকায়েদ উল্লাহ।

২০১১ সালে পারিবারিক ভিসায় ২৭ বছর বয়সী আকায়েদ নিউইয়র্কে পাড়ি জমিয়েছিলেন। আর তার সাম্প্রতিক আবাস ছিলো ব্রুকলিন। মার্কিন আইন-শৃঙ্খলা ও তদন্তকারী সংস্থাগুলো এখন এই সন্দেহভাজন হামলাকারীর বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সরকার বলছে, দেশে তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ নেই। সেপ্টেম্বরে তিনি শেষ বাংলাদেশে এসেছিলেন।

নিউইয়র্ক পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত ও জেরায় নিশ্চিত হওয়া গেছে নিজের কর্মস্থলেই বোমা তৈরি করেছিলেন আকায়েদ।

আকায়েদ উল্লাহ শরীরে বিস্ফোরকটি বাঁধা ছিলো বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ কমিশনার জেমস ও’নিল। বিবিসিকে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরকে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ছিলো নিম্নমানের। আকায়েদের কাছ থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জামও জব্দ করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন বলছে, সম্প্রতি একটি ইলেকট্রনিক কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন আকায়েদ। সেখানে তাঁর ভাইও কাজ করেন। আকায়েদ উল্লাহর নিউইয়র্কে ট্যাক্সি এবং রেন্ট কার চালানোর লাইসেন্স আছে।

আকায়েদের প্রতিবেশীরা সিএনএনকে জানিয়েছেন ঘটনার আগের দুই রাতে আকায়েদের বাড়ি থেকে মারামারি, চিৎকার ও কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছিলো। তবে কী হয়েছে বুঝে উঠতে পারেনি তারা। তাই পুলিশেও খবর দেয়া হয়নি। তারা আরও জানান, আকায়েদ বন্ধুসুলভ ছিলেন না। পরিবারের অন্য সদস্যরাও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলতেন না।

গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড আকায়েদকে ক্ষুব্ধ করেছিলো বলে জানিয়েছে সিএনএন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড তাকে হামলা চালাতে ‘বাধ্য’ করেছে। 

তবে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে আকায়েদের সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয়। আকায়েদ এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে বলে জানালেও এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে  নারাজ নিউইয়র্কের পুলিশ কমিশনার।

বিস্ফোরণে গুরুতর আহত আকায়েদকে এখন হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

 

বাংলা ইনসাইডার/কেএইচ/টিবি