বিশ্বব্যাপী চলমান কোভিড-১৯ এর মহামারীর বিপর্যয়ের মধ্যেও আমাদের অনেক অর্জন আছে। যেমন, এই করোনাকাল আমাদের অনেক প্রতিভার সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। ব্রুনাই দারুসসালাম প্রবাসী চিকিৎসক এ বি এম কামরুল হাসান তাদের মধ্যে অন্যতম। এই গ্রন্থে প্রকাশিত অনেকগুলো লেখা প্রকাশের আগেই আমার পড়বার সৌভাগ্য হয়েছিল। লেখক হিসেবে তার একটা বড় গুন হলো, পাঠকের পরামর্শ গ্রহণের মানসিকতা। এর ফলে আমি লক্ষ্য করেছি, তার লেখার মান ক্রমশ উন্নত হয়েছে। তার সাথে আমার লেখালেখি নিয়ে মাঝে মধ্যেই অনলাইনে বা ফোনে কথা হয়।
দীর্ঘকাল প্রবাসে থেকেও মাতৃভূমির সাথে লেখক কামরুল হাসানের এক ধরণের নাড়ির টান রয়েই গেছে। তার লেখালেখির বিষয়সমূহও তা প্রমাণ করে। চিকিৎসক জীবনের ব্যস্ততার পাশাপাশি স্বদেশ নিয়ে তার এই ভাবনাসমূহ আমাকে মুগ্ধ করে। লেখালেখিতে ধারাবাহিকতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। আমি আশা করবো লেখক এ বি এম কামরুল হাসান নিয়মিত লেখালেখির মাধ্যমে দ্রুতই পাঠক হৃদয়ে একটি শক্ত অবস্থান তৈরী করে নেবেন।
বইটি প্রকাশিত হয়েছে রাত্রি প্রকাশনী থেকে। প্রচ্ছদ করেছেন হিমেল হক। কোভিডকালে সংবাদপত্রে প্রকাশিত ৪৬টি লেখা বইটিতে স্থান পেয়েছে। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৯৬। মূল্য দুই শত টাকা। অমর একুশের বইমেলায় লেখক-চিকিৎসক এ বি এম কামরুল হাসানের জন্য শুভ কামনা রইল। আমি লেখকের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ‘কোভিডকালের লেখালেখি’ গ্রন্থটি পাঠকপ্রিয়তা পাক এই প্রত্যাশা রইল। চিয়ার্স। লেখক: কবি ও চিকিৎসক, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় স্বেচ্ছানির্বাসিত।