যে ভাষায় আমরা কথা বলি, যার মাধ্যমে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করি তাকে অর্জনের জন্যই ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারীর দিন বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল বাঙালি জাতির বীর সন্তানেরা। একুশ মানেই অহংকার। ২১ শে ফেব্রুয়ারী এখন আর কেবল বাংলা দেশেই সীমাবদ্ধ নয়। একে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার সম্মান।
২১ ফেব্রুয়ারী মানেই বাংলা ভাষার জয়গান পৃথিবীর সকল ভাষার মানুষের মুখে, বাঙালীর চেতনায় উজ্জিবীত হয় বিশ্ববাসী। বিশ্বরঙ সবসময়ই শিল্প ভাবনায় জাতিগত চেতনার সহযাত্রী। সেই চেতনারই বর্হিপ্রকাশ বিশ্বরঙ ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ এর সকল প্রয়াস। ২১ কে ঘিরেও তাই বিশ্বরঙ এর ফ্যাশনে এসেছে নানানরকম বৈচিত্র। এখন এটি কেবল উৎযাপনের দিন না এটি আমাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশেরও একটি দিন।
একুশে ফেব্রুয়ারির পোশাক গুলোকে সাজানো হয়েছে কালো আর সাদা রঙের আঙ্গিকে। কিছুকিছু ক্ষেত্রে লাল রঙের উপস্থিতি কালো আর সাদা
রঙকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। বাংলা বর্ণমালা হয়ে উঠেছে পোশাক অলংকরনে চেতনার অনুষঙ্গ। শীতের শেষবেলায় পোশাকগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি কাপড়।
‘বিশ্বরঙ’র শাড়ী, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবী, টি শার্ট, উত্তরীয়, মগ ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে শহীদ মিনার, বাংলা বর্ণমালা সহ জ্যামিতিক নকশার বিভন্ন নান্দনিক অনুষঙ্গ। কাজের মাধ্যম হিসাবে এসেছে টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, এ্যাপলিক, কাটওর্য়াক, স্ক্রিন প্রিন্ট ইত্যাদি।