দেশ জুড়ে ফাইভ-জি পেতে অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার অবকাঠামো নির্মাণে সরকার ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুবায়রি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্প প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, উপজেলা পর্যায়ে ডেটা ট্রান্সমিশন গতি প্রতি সেকেন্ডে ১০০ গিগাবিটে উন্নীত করতে এ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে।
গতকাল সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, আমরা ইতিমধ্যে কিছু জায়গায় ফাইভ-জি চালু করেছি এবং শিগগিরই দেশব্যাপী এটা চালু করতে চাই।
উল্লেখ্য, সরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক গত বছর ডিসেম্বরে দেশের ৬টি স্থানে সীমিত আকারে ফাইভ-জি চালু করে। স্থানগুলো হলো-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংসদ, সচিবালয়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধ।
মন্ত্রী বলেন, এটা ডেটার যুগ। ডেটার মাধ্যমে ভবিষ্যতে মেশিন, মানুষসহ সবকিছু পরিচালিত হবে। আমি মনে করি ইন্টারনেট অফ থিংস, রোবোটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য শিগগিরি ফাইভ-জি ব্যবহার শুরু হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কেও এই নেটওয়ার্কের ব্যাপক প্রয়োজন হবে।
বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল মতিন বলেন, নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ এবং আধুনিক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা দিতে এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের উন্নতি ও সম্প্রসারণ করা হবে। ইন্টারনেটের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং এটি আমাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত, টেলিযোগাযোগ ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং স্থাপন করার পাশাপাশি ১৪৬টি ভূগর্ভস্থ সংযোগস্থলের মাধ্যমে ৩ হাজার ১৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের অপটিক্যাল ফাইবার লাইন স্থাপনে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় হবে।