বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। এর ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া মানেই পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া। আমরা যে পণ্যগুলো আমদানি করি সেগুলোরও দাম বেড়ে যাবে। যদিও এই যুদ্ধ বেশিদিন চালু থাকবে না। এটাতো বিশ্বযুদ্ধ হবে না, আঞ্চলিক একটা যুদ্ধ হচ্ছে। তারপরেও পুরো ১ বছর লেগে যেতে পারে এটার প্রভাব শেষ হতে।
রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতি সঙ্কট এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ড. আতিউর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
ড. আতিউর রহমান বলেন, রাশিয়ার সাথে যাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে, যে সমস্ত ব্যাংকের সাথে যারা লেনদেন করে তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। রাশিয়ার ৫টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে তো যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এরফলে সেখানে লেনদেন করাটাও মুশকিল হবে। এখন বিকল্প খুঁজতে হবে। কিন্তু এই যুদ্ধের মধ্যে বিকল্প খুঁজে বের করাটাও মুশকিল। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর একটা প্রভাব পড়বে।
টিসিবির পণ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের যতটুকু সামর্থ্য আছে তা দিয়েই সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সামর্থ্য যতটুকু আছে সেখান থেকে যতটুকু পারা যায় সামাজিক সুরক্ষা দিয়ে যেতে হবে। বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি। তবে এনিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কিছুটা সময় তো লাগবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে। এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।