ইনসাইড বাংলাদেশ

মামলার জালে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/12/2017


Thumbnail

৩০০ আসনের এক হাজার সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করেছে বিএনপি। এই তালিকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কাছে দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র নেতাদের আসনগুলো বাদ দিয়ে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ৩ থেকে ৪ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই এক হাজার প্রার্থীর তালিকায় মাত্র ৫৬ জন আছেন যাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বাকি নয় শতাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধেই ফৌজদারি এবং দুর্নীতির মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে ৭২৫ জন জামিনে আছেন। বাকিরা হয় পলাতক না হয় জেলে। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, মামলার জালে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এরকম মামলা নিয়ে নির্বাচন করা ‘অসম্ভব’। বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, ’মামলাগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত। নির্বাচনে এই মামলাগুলো পর্বতসম বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’ তাঁর মতে, ’ধরা যাক একজন বিএনপির মনোনয়ন পেলো। সরকার তাঁর জামিন বাতিলের আবেদন করবে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবে বা চার্জশিট দেবে। মোদ্দাকথা তাঁকে দৌড়ের ওপর রাখবে।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘প্রার্থী মামলা লড়বে না নির্বাচন লড়বে?’ সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৮ হাজার মামলা রয়েছে।’ তাঁর মতে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা ঝুলছে।

বিএনপির একাধিক নেতা মনে করেন, এই মামলাগুলো প্রত্যাহার না করা হলে তাঁদের পক্ষে নির্বাচন করা অসম্ভব। একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন,প্রার্থী না হয় পেলাম কিন্ত কর্মী পাব কই,নির্বাচনের প্রচারণা চালাবে কে? বিএনপির তথ্যানুযায়ী প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মীরা হয় জেলে না হয় মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন প্রতিনিধির কাছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান একটি তালিকা দিয়েছেন। যাতে, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান মামলার তথ্য দেওয়া হয়েছে। বিএনপির নেতা বলেছেন, ‘সহায়ক সরকার তো পরের কথা, নূন্যতম এই মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করে, রাজনৈতিক কারণেই যদি কোনো মামলা করা হয়ে থাকে, তবে সেগুলো প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মনে করেন, ‘একটি মামলাও হয়রানিমূলক বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে নয়।’ বাংলা ইনসাইডারকে তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ বা বিএনপি দেখে মামলা করা হয় না। মামলা করা হয় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে। আইন তাঁর নিজস্ব গতিতে চলবে।‘ তিনি বলেন, ‘২০১৩, ১৪ সালে বিএনপি সারাদেশে যে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়েছিল, তার বিচার না হলে দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।‘

বিএনপি মনে করে,মামলার চাপেই বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। বেগম জিয়ার মামলা তো শেষ পর্যায়ে অন্যান্য নেতাদের মামলাগুলো নির্বাচনে বিএনপিকে ঘায়েলের অস্ত্র হিসেবেই সরকার ব্যবহার করতে চাইছে।

Read in English- http://bit.ly/2AAAFYG


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭