ইনসাইড গ্রাউন্ড

সাকিব-তামিমের দিন শেষ, তরুণদের বাংলাদেশ


প্রকাশ: 03/03/2022


Thumbnail

বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে কথা বললেই তাদের নাম আসবে সবার আগে। তবে এই উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলো যেন সময়ের আগেই ফুরিয়ে গেছে। মাঠের খেলায় এই মুখগুলো এখন অচেনা। সিনিয়র ক্রিকেটারদের এমন বেহাল দশায় দলের হাল ধরতে তরুণরা কতটা প্রস্তুত হয়েছেন সেই নিয়েই এখন ক্রিকেট অঙ্গনে চলছে আলোচনা। তরুণরা প্রস্তুত হচ্ছেন তো? তাঁরা সাকিব-তামিম-মুশফিক-রিয়াদ-মাশরাফি হয়ে উঠতে পারবেন তো, নাকি তাদেরও ছাড়িয়ে নিজেদের নিয়ে যাবেন অনন্য উচ্চতায়? এইসব প্রশ্নে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই।

তরুণ ক্রিকেটারদের প্রতিভা নিয়ে সংশয় না থাকলেও তরুণদের ধারাবাহিকতা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সিনিয়র ক্রিকেটাররাও এখন ঠিক তাই। প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে, উজ্জ্বল করেছে বাংলাদেশের নাম। কিন্তু তাদেরও নেই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। তাই তরুণদের নিয়েও এখন এটিই চিন্তার কারণ। বাংলাদেশ দলের নতুন ব্যাটিং কোচ অবশ্য তরুণদের ওপর ভরসা রাখছেন। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সাকিব-তামিমরাও ভালো করতে পারেননি। সুযোগ পেয়েছেন বলেই আজ নিজেদের অন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন বলে মনে করিয়ে দিলেন তিনি। তরুণ খেলোয়াড়দের মাঝে নতুন সাকিব-তামিমকে খুঁজে পাচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ।

সিডন্স বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ সবাই তাদের শুরুতে অধারাবাহিক ছিল। আমরা তাদের ক্যারিয়ারের যেকোনো পর্যায়ে বাদ দিয়ে দিতে পারতাম। সাকিব যদি ভালো বোলার না হতো, তাহলে সে সাফল্য পাওয়ার আগে ব্যাটার হিসেবে বাদ পড়ে যেতে পারতো। তবে সে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে কারণ ব্যাটার হিসেবে তার সামর্থ্য ছিল। আমাদের এখন কিছু প্রতিভাবান সুপারস্টার রয়েছে। আমরা তাদের সময় দিবো, যথাযথ ক্রিকেটারকে বাছাই করে তাদের নিয়ে কাজ করবো। তাদের ওপর বাড়তি চাপ না দিয়ে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া উচিত। আমার কোনো সন্দেহ নেই তারা নতুন সাকিব-তামিম হবে।’

তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে সিডন্সের এই আশাবাদ এখন অনেকটাই বাস্তব। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলতি টি-টুয়েন্টি সিরিজের আজকের প্রথম ম্যাচে তরুণ তুর্কি নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলামের বোলিং তোপে এবং লিটন দাসের ৬০ রানের অনবদ্য পারফরম্যান্সে ৬১ রানের জয় তুলে নেয় টাইগাররা। সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব আল হাসানের ২ উইকেট ছাড়া বলার মত পারফরম্যান্স নেই। এর আগে, ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অবিশ্বাস্যভাবে দলকে জিতিয়েছেন দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদি হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের জয়ের ভীত গড়ে দেন লিটন কুমার দাস।

দেখা যাচ্ছে যে, সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশেষ করে পঞ্চপাণ্ডবের সহায়তা ছাড়াই এখন জয় পাচ্ছে বাংলাদেশ। সিনিয়র ক্রিকেটাররা এখন মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরে অনেক বেশি মনযোগী। আর এর প্রভাব পড়ছে তাদের পারফরম্যান্সেও এবং এই বিষয়টিকেই দায়ী করছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। তবে এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটের জন্য একটি আশীর্বাদ বটে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর নির্ভরতা এখন প্রায় শূন্যের কোটায়। ভরসা রাখা হচ্ছে তরুণদের ওপর। তরুণরা অবশ্য সেই প্রতিদানও দিচ্ছে। তাই, তরুণ তুর্কিদের পারফরম্যান্স যদি ধারাবাহিক হয় তবে তাঁরা সাকিব-তামিমদের ছাড়িয়ে নিজেদের আলোয় উজ্জ্বল করবে দেশের ক্রিকেট।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭