মানুষের স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা, উদাসীনতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, প্রথম থেকেই কিছু লোক স্বাস্থ্যবিধি মানা থেকে শুরু করে টিকা নেওয়া, সব বিষয়েই অবহেলা করে আসছে। কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি। শুধু আমাদের দেশে না, এটি একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসকে মানুষ স্বাভাবিক রোগ হিসেবে ধরে নিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ মনে করছে করোনা আসবে-যাবে। একে সঙ্গী করেই বাঁচতে হবে। এ জন্য করোনাকে আর ভয়াবহ রোগ বা ব্যাধি হিসেবে নিচ্ছে না এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা-উদাসীনতা, টিকা প্রাপ্তিতে সর্বনিম্ন বয়সসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, জনগণকে আমি বলবো এটি তো মিউট্যান্ট ভাইরাস। কখন কোন দিকে মোড় নেয়, তা তো বলা যায় না। নতুন কোনো ভয়াবহ ভেরিয়্যান্ট আসার ঝুঁকি তো রয়েই গেছে। তাই অন্তত মুখে মাস্ক যেন থাকে। যারা এখনও টিকা নেনটি, তারা অবশ্যই টিকা নিবেন। এরকম গাছাড়া, উদাসীন থাকা উচিত না। কখন কি হয়, আমরা তো জানি না। করোনা কিন্তু এখনও চলে যায়নি। আবার আসার সম্ভাবনাও তো অনেক বেশি। কেউ তো গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবে না। সুতরাং জনগণকে এ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে।
বুস্টার ডোজের সময় ও কার্যকারিতা নিয়ে তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ প্রয়োগের সময় তো ইচ্ছে মতো নির্ধারণ করা যায় না। এটি গবেষণার ব্যাপার। সারা পৃথিবীতে গবেষকরা গবেষণা করে যেটি বলেছে, সেটিই মানতে হবে। সরকার ছয় মাস সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। আপাতত এভাবেই চলুক। আগে সবাই বুস্টার ডোজ নেন। সবাই বুস্টার ডোজের আওতায় আসলে, তখন বুঝা যাবে এটির কার্যকরিতা কতটুকু। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এর কার্যকারিতা বুঝা যাবে। আপাতত বিশ্ব যা করছে, আমাদের তাই অনুসরণ করতে হবে।
টিকা প্রাপ্তিতে সর্বনিম্ন বয়স আরও কমানোর বিষয়ে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, এটি তো আপাতত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এছাড়া পুরো পৃথিবীতেই এ নিয়ে গবেষণা চলছে। কোনো কোনো দেশে পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সীদেরও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাচ্চাদের ঢালাওভাবে টিকা দেওয়া যাবে না। এর অনুমোদন এখনও কোনো দেশ পায়নি। সুতরাং আমাদেরকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। টিকা দিতে তো হবে সবাইকেই। সে জন্য অনেক দেশে বাচ্চাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গবেষণাও চলছে। ডাটাগুলো আসুক। পরে হয়তো এ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। আপাতত যা আছে, ওটাই চলতে থাকুক।