ইনসাইড বাংলাদেশ

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ধরে রাখাই হোক ৭ মার্চের দৃপ্ত প্রত্যয়’


প্রকাশ: 07/03/2022


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের মাহকাব্যিক ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মৌলিক ভিত্তি। এ ভাষণে বঞ্চনার অবসানে বাঙালির বিজয়ের কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ধরে রাখাই হোক ৭ মার্চের দৃপ্ত প্রত্যয়”।

সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

এ সময় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম মন্টু, জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম লিটন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, “মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহাকাব্যিক মাস। এ মাসেই ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু কার্যত গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। যার যা কিছু আছে তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়ে এ দিন তিনি সরাসরি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ মাসের ২৬ তারিখ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জীবনের চেয়ে বাঙালিকে ভালোবাসতেন, প্রাণের চেয়ে ভালোবাসতেন বাংলার মাটিকে। সেজন্যই বঙ্গবন্ধু কারো সাথে আপস না করে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় করেছিলেন”।

শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এখন ইউনেস্কোর মূল্যবান দলিলের অংশে পরিণত হয়েছে। সারা দুনিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শ্রদ্ধার জায়গা করে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করি, দল মত নির্বিশেষে আমাদের মৌলিক ভিত্তি ৭ মার্চের ভাষণ। অথচ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ দেশে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এ ভাষণ প্রচারকারীদের নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। আর্কাইভ থেকে এ ভাষণ নষ্ট করে ফেলা হয়েছিল। এভাবে বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্বকে বিনাশ করে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। রাস্তাঘাটে, বইপত্রে, সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে, সরকারি কার্যক্রমে সর্বত্র বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এ ধারাবাহিকতায় গোটা জাতিকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ধ্বংস করে পাকিস্তানী স্টাইলের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২১ বছর রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়”।



তিনি আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুকে বলা হতো শোষিতের কণ্ঠস্বর আর শেখ হাসিনাকে বলা হয় দুর্গতদের কণ্ঠস্বর। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উন্নত বাংলাদেশের ভিত্তি রচিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক জায়গা ধারণ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে হবে। জয় বাংলা 
স্লোগানকে আমাদের প্রাণসঞ্চারী, সঞ্জিবনী স্লোগান হিসেবে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে”।

এদিন, সকালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাদীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন মন্ত্রী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকসহ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭