বর্তমান বছরের শুরুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২টি সিদ্ধান্ত সামাজিক সুরক্ষায় দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করবে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি ষাটোর্ধ্ব সকল নাগরিককে পেনশন সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সার্বজনীন পেনশন কার্যক্রম চালুর জন্য আইন, বিধি-বিধান প্রণীত হচ্ছে। আর ১ মার্চে পালিত জাতীয় বীমা দিবসে তিনি উন্নত দেশের মতো বীমা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য বীমা চালু করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন। সে স্মৃতি ধরে রাখতেই ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ নির্ধারণ করা হয়। সিদ্ধান্তটি ঐতিহাসিক, তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু আজন্ম সংগ্রাম করেছেন। কাজেই প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষসহ সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের মধ্যে বীমার কার্যক্রম জনপ্রিয় করার জন্য ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালন করা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আর জাতীয় বীমা দিবসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপরোক্ত সিদ্ধান্ত শুধু বীমা ক্ষেত্রে নয়, সামাজিক সুরক্ষায় এদেশে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় এদেশে বীমা কোম্পানির সংখ্যা ছিল ৬৭টি। এর মধ্যে ১৫টি দেশি, ২৯টি পাকিস্তানি এবং ২৩টি বিদেশি। বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়োজনে স্বাধীনতার পর পরই ব্যাংক ও বীমা জাতীয়করণ করেন। তিনি বীমা কোম্পানিগুলোকে জাতীয়করণ করে প্রথমে সুরমা, রূপসা, কর্ণফুলী ও তিস্তা নামে ৪টি বীমা কোম্পানিতে রূপান্তরিত করেন। পরে উক্ত ৪টি প্রতিষ্ঠান একীভূত করে জীবনবীমা কর্পোরেশন ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশন নামে ২টি বীমা প্রতিষ্ঠান সৃজন করেন। বেসরকারি সেক্টরে ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স ১৯৮৪ সালে প্রথম বীমা কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে সরকারি সেক্টরে উক্ত ২টি বীমা কর্পোরেশনের বাইরে বেসরকারি সেক্টরে বীমা কোম্পানির সংখ্যা ৭৯টি (জীবনবীমা ৩৩, সাধারণ বীমা ৪৬)। অর্থাৎ দেশে এখন ব্যাংকের চেয়ে বীমা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বেশি (ব্যাংক ৬১টি, বীমা ৮১টি)। এতো বীমা প্রতিষ্ঠান থাকার পরেও এদেশে জনগণের মধ্যে বীমার প্রচলন খুবই কম। প্রতি হাজারে বীমাকারীর সংখ্যা মাত্র ৪ জন। শস্য বীমা, গবাদি প্রাণির বীমা প্রায় নেই এবং স্বাস্থ্য বীমার অবস্থাও প্রায় তলানিতে।
জিডিপিতে বীমার অবদান বিবেচনা করলে বিশ্বে সবচেয়ে অগ্রগামী দেশ যুক্তরাজ্য (১১.৮%)। এর পরে আছে যুক্তরাষ্ট্র ৮.১% এবং জাপান ৮.১%। আমাদের প্রতিবেশী ভারতে এ হার নেহায়েত কম নয় (৪.১%)। আমাদের অবস্থা উল্লেখ করার মতো নয়, ১%-এরও কম। সে প্রেক্ষাপটে এ দেশে বীমার কার্যক্রম বৃদ্ধি করার জন্য জাতীয় বীমা নীতি-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়। সামাজিক বীমা কর্মসূচি চালু করা, জাতীয় বীমা দিবস পালন, পেশাভিত্তিক বীমা ব্যবস্থার প্রচলন, অনলাইন বীমা কার্যক্রমের প্রসার, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারীদের সুরক্ষা এবং সর্বোপরি ২০২১ সালে জিডিপিতে বীমার অবদান ৪%-এ উন্নীত করাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আছে ২০১৪ সালের জাতীয় বীমা নীতিতে। ইতোমধ্যে সার্ভিস সেক্টরসহ বিভিন্ন সেক্টরে দ্রুতগতির উন্নয়নে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ও আকার যেমন বৃদ্ধি ঘটেছে, তেমনি যে সেক্টরের প্রবৃদ্ধির গতি একটু কম, সে সকল সেক্টরের জিডিপির অবদান নিম্নমুখী হয়েছে। নিম্নমুখী সেক্টরের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বীমা। ২০১৪ সালে জাতীয় বীমা নীতি প্রণয়নের বছরে জিডিপিতে বীমার অবদান ছিল ০.৬৯% (জীবন বীমা ০.৬১%, সাধারণ বীমা ০.০৮%)। বীমা সেক্টরের অত্যন্ত শ্লথ গতির প্রবৃদ্ধির কারণে ২০২১ সালে জিডিপিতে অবদান বাড়েনি বরং তা অর্ধেকের নিচে নেমে গিয়েছে (০.২৮%, জীবন বীমা ০.২২%, সাধারণ বীমা ০.০৬%)।
ব্যাংকের মতো বীমা খাত একটি অতি সম্ভাবনাময় খাত হলেও এ খাতে অগ্রগতি খুবই কম। বীমাকারীর সংখ্যা কম, প্রিমিয়ামের হার বেশি, দাবি পরিশোধে বিলম্ব, ৩ বছর বীমা না চালালে প্রিমিয়ামের কোন অংশই ফেরত না পাওয়া, প্রথম এক বা দুই বছর প্রিমিয়াম দেয়ার পরে প্রিমিয়াম সংগ্রহে এজেন্টের অনাগ্রহ ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে বীমা কার্যক্রম সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায়নি। বীমা করার প্রক্রিয়াটি প্রধানত এজেন্টভিত্তিক। স্বতন্ত্র এজেন্ট, গ্রুপ এজেন্ট (একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের জন্য একজন এজেন্ট) এবং পার্টনার এজেন্ট (একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী/সদস্যের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানই এজেন্ট) মধ্যে আমাদের দেশে স্বতন্ত্র এজেন্টের বীমার প্রচলন বেশি। জীবন বীমার ক্ষেত্রে এজেন্টের আবার তিনটি ধাপ। মাঠপর্যায়ে এফএ (ঋরহধহপরধষ অংংড়পরধঃব), তার ওপর ইউনিট ম্যানেজার এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। এদের প্রত্যেক পর্যায়ে কমিশনের হার প্রথম বছরে অনেক বেশি। এফএএ’র কমিশন ১০ বছর মেয়াদি বীমা পলিসির ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ২২%, ১২ বছরের ক্ষেত্রে ২৫% এবং ১৫ বছরের ক্ষেত্রে ৩২%। ইউনিট ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের কমিশন এফএ’র কমিশনের যথাক্রমে ২৫% ও ১৫%। কাজেই, ১৫ বছর মেয়াদি একটি বীমা পলিসির ক্ষেত্রে প্রথম বছরে এজেন্ট কমিশন এফএ ৩২% + ইউনিট ম্যানেজার ৮% (৩২-এর ২৫%)+ ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ৪.৮% (৩২-এর ১৫%)= ৪৪.৮%। দ্বিতীয় বছরের জন্য ১০% এবং পরবর্তী প্রতি বছরের জন্য প্রিমিয়ামের ৫%। সে কারণে প্রথম এবং দ্বিতীয় বছরের পরে এজেন্টরা প্রিমিয়াম সংগ্রহে তেমন আগ্রহী হন না বলে অভিযোগ আছে।
দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জন্য ৪টি বিশেষায়িত ব্যাংক আছে। কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, আনসার ভিডিপি ব্যাংক এবং সর্বশেষ সংযোজন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জন্য কোন বীমা প্রতিষ্ঠান নেই। অথচ এই প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ নিয়মিত ঋণের বিপরীতে ঝুঁকি তহবিলে অর্থ প্রদান করেন, যাকে অপ্রাতিষ্ঠানিক/ইনফরমাল বীমা বলাই যৌক্তিক। বীমা আইনানুযায়ী এ কার্যক্রম সম্পূর্ণ অবৈধ। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি আইনে বীমা সম্পর্কিত কোন বিধান নেই। যেহেতু ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারীরা সামাজিক জামানতের বিপরীতে ঋণ গ্রহণ করেন, তাই সকল সরকারি-বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান ঋণের বিপরীতে ০.৭ থেকে ১% হারে ঝুঁকি তহবিলে অর্থ আদায় করে। ঋণ বীমা, গ্রাহক কল্যাণ তহবিল, মৃত্যুঝুঁকি আচ্ছাদন স্কিম, কু-ঋণ তহবিল ইত্যাদি নামে এ ইনফরমাল বীমা প্রিমিয়াম চালু আছে কোন প্রকার আইন বা বিধিবদ্ধ নিয়ম-কানুন ছাড়াই। প্রান্তিক পর্যায়ের প্রায় ৪ কোটি মানুষ সরকারি-বেসরকারি সেক্টরের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত। তারা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে ইনফরমাল বীমার প্রিমিয়াম প্রদান করেন। কিন্তু প্রিমিয়াম দিয়েও আর্থিক সুরক্ষা পান না। সংশ্লিষ্ট ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুরক্ষা হয়, কোটি কোটি টাকা লাভ হয়। গ্রাহকের মৃত্যুতে তার অপরিশোধিত ঋণ মওকুফ হয় যা প্রচলিত আইনে এমনিতেই হয়। মৃত গ্রাহকের দাফন, চিকিৎসা বা অনুরূপ খাতে কিছু সহায়তা দেয়া হয়। অথচ এদের জন্য কোন বিশেষায়িত বীমা প্রতিষ্ঠান থাকলে প্রদত্ত প্রিমিয়ামেই অনেক বেশি আর্থিক সুবিধা দেয়া সম্ভব হতো।
প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জন্য মাইক্রোইন্স্যুরেন্স প্রবর্তনের আলোচনা ও দাবি তাই দীর্ঘদিনের। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের অপ্রাতিষ্ঠানিক বীমা কার্যক্রম ছাড়া জীবন বীমা কর্পোরেশন, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এবং কিছু কিছু বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোইন্স্যুরেন্স কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু তা যেমন উল্লেখযোগ্য নয়, তেমনি আকর্ষণীয়ও নয়। এ মাসেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু প্রতিবন্ধী সুরক্ষা বীমা’ নামক স্বাস্থ্য বীমা কার্যক্রম সদয় উদ্বোধন করেন। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে বীমার আওতায় আনার জন্য প্রয়োজন একটি বিশেষায়িত বীমা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যমান বীমা আইনে স্বাস্থ্য বীমা, গবাদি প্রাণির বীমা, শস্য বীমা ইত্যাদি সাধারণ বীমার আওতাভুক্ত। আইনানুযায়ী একই বীমা প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা উভয় প্রকার বীমা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জন্য এ আইনের বিধান যৌক্তিক নয়। প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য তাদের সকল প্রকার বীমা একই প্রতিষ্ঠান থেকে হওয়া বাঞ্ছনীয়।
স্বাধীনতাকালে এদেশে দারিদ্রের হার ছিল ৮০% এর বেশি, তা ২০২০ সালেই ২০% এ নিচে নেমে এসেছে। দারিদ্রসীমার উপরে ওঠা বিরাট জনগোষ্ঠী নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের কাতারে শামিল হয়েছেন। বিআইডিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ মধ্যবিত্তের দলে যোগ দিচ্ছেন। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এস্তার দুফলে মধ্যবিত্তের যে তিনটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মধ্যবিত্তদের মধ্যে উদ্যোক্তা হবার প্রবণতা বেশী। কাজেই, এ দেশে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মধ্যবিত্ত উদ্যোক্তা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছেন। তাদের সুরক্ষা দেবার জন্যও বিশেষায়িত বীমা/মাইক্রোইন্স্যুরেন্স পরিচালনা করা জরুরি।
মাইক্রোইন্স্যুরেন্স পরিচালনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেশকিছু নির্দেশনা আছে। নভেম্বর ৫, ২০১৯ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইনক্লুসিভ ইন্স্যুরেন্স’ উদ্বোধনকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় মাইক্রোইন্স্যুরেন্স প্রবর্তনের বিষয়ে নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ডিজিটাল আর্থিক সেবা ‘পল্লী লেনদেন’-এর উদ্বোধনকালে তিনি প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ ও তাদের সম্পদের ঝুঁকি মোকাবেলায় বীমা প্রতিষ্ঠান সৃজনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে জুলাই ২৮, ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষায়িত বীমা প্রতিষ্ঠান সৃজনের প্রস্তাব প্রেরণের মৌখিক নির্দেশনা প্রদান করেন। সে ধারাবাহিকতায় বিশেষায়িত বীমা প্রতিষ্ঠান সৃজনের একটি খসড়া আইন প্রণয়ন করে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক থেকে ২০২০ সালেই মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর আজন্ম সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবন এবং পেশা জীবনের স্মরণে প্রস্তাবিত এ বীমা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘বঙ্গবন্ধু জনকল্যাণ বীমা কর্পোরেশন’ হিসেবে নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান পার্টনার এজেন্ট হিসেবে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করবে বিধায় এ প্রতিষ্ঠানের যেমন শাখা খোলার প্রয়োজন হবে না, তেমনি স্বতন্ত্র এজেন্টের প্রয়োজন পড়বে না। কাজেই প্রিমিয়াম সহজ ও সাশ্রয়ী করা, দ্রুত দাবি পরিশোধ এবং জীবন বীমার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বীমা, গবাদি প্রাণির বীমা, শস্য বীমাসহ প্রান্তিক পর্যায়ে সামাজিক সুরক্ষা ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে প্রস্তাবিত বীমা প্রতিষ্ঠান দ্রুত বিকশিত হতে পারবে।
সে প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য বীমাসহ উন্নত দেশের বীমাব্যবস্থা সৃজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এবং প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জীবন ও সম্পদ সুরক্ষায় বীমা কার্যক্রম পরিচালনার পূর্ব নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত বিশেষায়িত বীমা প্রতিষ্ঠান সৃজন করা খুবই জরুরি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলে যথাশীঘ্র উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।